মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে।
দেশে প্রথম ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা রিয়েল ভিইউ চালু করতে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এই প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি টেলিভিশন সিগন্যাল গ্রহনের মাধ্যমে গ্রাহকেরা বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। তাই টিভি দেখার বিশ্বের সর্বাধুনিক সুবিধা এবং প্রযুক্তি দেশে চালু হতে যাচ্ছে। মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস এর প্রধান নির্বাহি দিমিত্রি লেপিস্কি এসব কথা জানান। তিনি আরো বলেন, “খুব শীঘ্রই রিয়েল ভিইউ ব্র্যান্ড নামে ডিটিএইচ সেবা চালু করতে আমরা সম্পূর্ণ তৈরি এবং বাংলাদেশের টিভি দর্শকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতায় আমূল পরিবর্তন আনবে এই সেবা। এবিএস স্যাটেলাইট বীমের প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে শুরুতে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে এই সেবা প্রদান করা হবে এবং ধীরে ধীরে সারা দেশের মানুষই এই সেবা গ্রহন করতে পারবেন।” রিয়েল ভিইউ এর ছবি অ্যানালগ কেবল টিভির ছবির চেয়ে অনেক গুণ ভালো হবে বলেও জানান তিনি।
রিয়েল ভিইউ সেবা নিতে একজন গ্রাহকের দরকার পড়বে একটি সেট টপ বক্স এবং ডিশ অ্যান্টেনা। ইন্সটলেশন এবং মূল্য পরিশোধের পরই একজন গ্রাহক ডিটিএইচ সেবা উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েল ভিইউ গ্রাহকদের জন্য থাকছে ২৪ ঘন্টা গ্রাহকসেবা সুবিধা। মাসিক বিল পরিশোধ করা যাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। গ্রাহকের দোরগড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড ডিস্ট্রিবিউটেরদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সরকার বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে দেশে ডিটিএইচ সেবা চালুর লাইসেন্স প্রদান করে। এই সেবা চালুর জন্য সকল প্রয়োজনীয় অনুমোদন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) প্রদান করেছে। এখন কোম্পানিটি গ্রাহকদের টিভি দেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার শেষ ধাপে রয়েছে।
রিয়েল ভিইউ বেক্সিমকো এবং জিএস গ্রুপের একটি যৌথ উদ্যোগ। বেক্সিমকো বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। কমোডিটি পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করলেও কোম্পানিটি এখন বিভিন্ন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে যেগুলোর অবদান দেশের জিডিপিতে শতকরা ৭৫ ভাগ। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নিয়ে যাওয়াই কোম্পানিটির লক্ষ্য। এ লক্ষ্যেই পরবর্তী প্রজন্মের বিনোদন চাহিদা মেটাতে ডিটিএইচ সেবা চালু করা। অপরদিকে জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি যারা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবা দিচ্ছে।
জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়ান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যেটি টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। শুধু বাংলাদেশই নয় জিএস গ্রুপ কম্বোডিয়া এবং পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিয়ে আসছে। এই ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। রাশিয়াতে ন্যাশনাল ডিজিটাল টিভি প্রজেক্ট তারাই প্রনয়ন করেছে এবং ব্যবস্থাপনাও করছে, পাশাপাশি সফলভাবে প্রযুক্তি রপ্তানীতেও তারা অত্যন্ত সফল। ডিটিএইচ এমন একটি ডিজিটাল টেলিভিশন ডিস্ট্রিবিউশন সেবা যেখানে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে বাসায় স্থাপিত ডিজিটাল সেট টপ বক্সের মাধ্যমে টিভি সিগন্যাল গ্রহন করতে পারবে। বর্তমানে প্রচলিত যে কেবলের মাধ্যমে দর্শকরা টিভি দেখে থাকেন সে কেবলের আর প্রয়োজন থাকবে না ডিটিএইচ সেবা গ্রহন করার পর।
0 comments:
Post a Comment