Wednesday, May 11, 2016

কম্পিউটারের জন্য প্রথমবারের মতো এলো Whatsapp !

5:58:00 AM

কম্পিউটারের যারা ওয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য আজ নিয়ে আসলাম দারুন এক সুখবর!!!! জানি এতোদিন আপনারা এটাই খুজছিলেন।  সামাজিক যোগাযোগের এক দারুন আপস হচ্ছে এই ওয়াটসআপস।  পিসি ভার্সনে পাবেন সর্বশেষ ভার্সন ও অসাধারন ফিচার। এটা সম্পর্কে নতুন করে আসলে বলার মতো কিছু নেই। তাই আর দেরি না করে এখনই ডাউনলোড করে নেন।

আরো দেখুনঃ যে দুটি ফিচার প্রত্যেকটি ল্যাপটপে থাকা উচিত

Download Whatsapp App For Desktop
Introducing WhatsApp's desktop app

হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার (ডব্লিউএএম) স্মার্টফোনের জন্য জনপ্রিয় একটি ম্যাসেঞ্জার। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে এই ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। শুধু চ্যাটই নয়, এ ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায়। ম্যাসেঞ্জারটি অ্যাপলের আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, সিমবিয়ান ও উইন্ডোজ ফোনে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ফোন নম্বর তালিকা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বর সিংকক্রোনাইজ করে নেয়। ফলে আলাদা করে আইডি যোগ করার প্রয়োজন হয় না। স্মার্টফোনে বিনা মূল্যে ব্যবহারের উপযোগী ম্যাসেঞ্জারটিতে ব্যক্তিগত হালনাগাদ, ব্যবহারকারী যেখান থেকে চ্যাট করছেন সে এলাকা, গ্রুপ তৈরি, গ্রুপের জন্য আলাদা আইকন তৈরি করা যায়। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর অ্যাপ্লিকেশনটিতে ভিডিও কল সুবিধা আসবে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছাবে। ২০০৯ সালে ইয়াহুর সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জান কউম মিলে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৫ জন কর্মী রয়েছেন। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কেনার সময় ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানান, প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করছেন এবং এই অ্যাপটির ৪৫ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছেন।

Download Whatsapp

ফেসবুক দাবি করেছে, হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার করে যত সংখ্যক বার্তা পাঠানো হচ্ছে তা সারা বিশ্বে টেলিকমে এসএমএসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনটির বর্ণনায় লিখেছে, প্রথম বছরে একেবারেই বিনা মূল্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে, তবে পরের বছর থেকে ০.৯৯ মার্কিন ডলার করে চার্জ দিতে হবে। এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারের সুবিধা কী? হোয়াটসঅ্যাপের ভাষ্য, এতে কোনো লুকানো চার্জ নেই। যখন ব্যবহারকারী ও তাঁর বন্ধু এটি তাঁদের মোবাইলে ডাউনলোড করে নেবেন, তখন দুজন যত খুশি তত চ্যাট করতে পারবেন। দিনে লাখ লাখ মেসেজ পাঠালেও এক পয়সা খরচ হবে না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। থ্রিজি/এজ বা ওয়াই-ফাই সব নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহার করা যাবে। এতে ভিডিও, ছবি, ভয়েস নোট প্রভৃতি মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এতে কয়েকজন মিলে গ্রুপ চ্যাটও করা যায়। আন্তর্জাতিক কোনো চার্জ আছে কি না? হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, মেইল ব্যবহার করতে যেমন নগদ অর্থ খরচের প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি অন্যান্য দেশের বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতেও খরচ লাগে না। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে পিন বা ইউজার নেম প্রয়োজন পড়ে না। এসএমএসের মতো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই চ্যাট চালানো যায়। লগইন বা লগ আউটের বালাই নেই বলে এটি সব সময় চালু থাকে। যাঁরা ব্যবহারকারীর ফোন তালিকায় থাকেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাঁদের নতুন করে বন্ধু তৈরি করতে হয় না। হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবসার মডেল কী রকম আর কীভাবে আয় করে হোয়াটসঅ্যাপ?

আরো দেখুনঃ অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শম্যালো'র লুকানো ১১ টি ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবসা মডেলটি নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা নানা ধারণা করেন। এর মূল আয় ধরা হয় সাবসক্রিপশন ফি। কিন্তু অনেকেই মনে করেন ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা থেকেও আয় করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু গ্রাহকদের তথ্য বিক্রি বা গ্রাহকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে কোনো সেবা তৈরি করতে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান নির্বাহী। বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার বিষয়টি নিয়েও কোনো পরিকল্পনা করেননি তিনি। অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠাতারা সার্ভিসটি তৈরি করতে যে শ্রম দিয়েছেন, এখন ফেসবুকের কাছে এক হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হওয়াটাকেও বড় ধরনের আয় বলছেন বিশ্লেষকেরা। এ প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ১০০-১৫০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ করা হয়েছিল ৷জানুয়ারি, ২০১৫ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপস হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ এর সক্রিয় ব্যবহারকারি রয়েছে ৭০০ মিলিয়িনের অধিক,যার মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই রয়েছে প্রায় ৭০ মিলিয়ন।


ইতিহাস

হোয়াটসঅ্যাপ ২০০৯ সালে জ্যান কউম ও ব্রায়ান এক্টন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।তারা আগে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু! এর কর্মী ছিলেন।তারা ইয়াহু! ছাড়ার পর ফেসবুক এ নিয়োগ পাবার চেষ্টা করেন,কিন্তু ব্যর্থ হন। এরপর জ্যান কউম তার ইয়াহু! থেকে সংগ্রহকৃত $৪০০,০০০ দিয়ে নতুন কিছু করার কথা ভাবেন। কয়েক বছর পর তিনি একটি আইফোন কেনার পর অ্যাপল এর অ্যাপষ্টোর নিয়ে কিছু পরিকল্পনা করেন। তিনি তার বন্ধু অ্যালেক্স ফিসম্যা্ন এর সাথে দেখা করেন এবং আইফোন এর জন্য নতুন একটি অ্যাপ তৈরি করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু এর জন্য একজন আইফোন ডেভেলপারের প্রয়জন। তাই ফিসম্যা্ন কউমকে ইগর সলমনকিয়েভ নামের একজন রুশ ডেভেলপারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর কউম তাড়াতাড়ি হোয়াটসঅ্যাপ নামটি পছন্দ করেন, কারণ নামটির সাথে ইংরেজী শব্দ "হোয়াটস আপ" এর মিল রয়েছে। অতঃপর ২৪শে ফেব্রুয়ারি,২০০৯ এ কউম তার জন্মদিনে ক্যালিফোর্নিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠিত করেন। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি শুরুতে খুবই ক্র্যাস করত। কিন্তু এরপর কউম অ্যাপটি আপডেট করেন এবং বাগ ফিক্স করেন। ঐ সালেই হোয়াটসঅ্যাপ ২.০ বের করা হয় মেসেজ ফিচারের সাথে। এরই সাথে সাথে হোয়াটসঅ্যাপ এর ইউজার ২০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। এরপর কউম তখনও বেকার থাকা এক্টন এর সাথে দেখা করেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান। এক্টন হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগ দেন এবং তার ইয়াহু! তে কর্মরত পুরোনো বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ এ ২০০,০০০ ডলার বিনিয়োগ করতে বলেন। তার বিনিয়োগ করার পর এক্টন হোয়াটসঅ্যাপ এর সহপ্রতিষ্ঠাতার খেতাব পান এবং আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন নভেম্বর ১-এ।এরপর ঐ সালেই হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রী থেকে পেইড সার্ভিস হয়ে যয়। ২০১১ সালে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপল এর অ্যাপষ্টোর এর অ্যাপতালিকায় সেরা ২০ এ স্থান পায়।ফেব্রুয়ারি,২০১৩ সালে হোয়াটসঅ্যাপ ২০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিল ২২,২০১৪ তে, হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করে তাদের ৪০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। জানুয়ারী ২০১৫ তে হোয়াটসঅ্যাপ ৭০০ মিলিয়ন ইউজার এর মাইলফলক স্পর্শ করে।এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৫ সালে ফেসবুক প্রায় ১৫০ কোটি ডলারে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয়।

Written by

I am Akil Ashraful. Born in Palash, Narsingdi. I am a blogger, Web designer and also a logo designer.

0 comments:

Post a Comment

 

© 2017 TECHDVICE. All rights resevered.

Back To Top