বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্রান্ডিং কার্যক্রম’-এর উদ্ধোধন করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেন, বর্তমানে টেলিটকের মোট ৪২ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ লাখ। বিভাগীয় শহর ছাড়াও ১০০টি উপজেলায় টেলিটকের থ্রিজি সেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাসে এর কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি জানান, দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু হলে জেলা পর্যায়ে তা সম্প্রসারণ করা হবে। একইসাথে ইউনিয়ন পর্যন্ত থ্রিজি নেটওর্য়াক সম্প্রসারণ করা হবে। এখন এটিএম বুথ ব্যবহার করে টেলিটকে রিচার্জ করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে কাস্টমার কেয়ার স্থাপন করতে চাই। সব মিলিয়ে টেলিটককে প্রাইভেট সেক্টরের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এখন ভারত বা হাঙেরি যে ডিজিটালাইজেশনের কথা বলে এর শুরু বাংলাদেশ থেকে। এসব বিবেচনা করে আমরা টেলিটকের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে টেলিটককে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপযুক্ত করে তোলা। এর প্রথম ধাপ হিসেবে লোগোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে টেলিটক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রচারে প্রবেশ করছে। ৩টি উদ্দেশ্যে আমরা এ কাজ শুরু করেছি। এগুলো হল- কাভারেজ সম্প্রসারণ, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। তিনি আরও বলেন, আমরা টেলিটকের দাপ্তরিক কাজের উন্নতি ঘটাতে চাই। এজন্য কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে।
টেলিটকের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, টেলিটকের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা নয় বরং সেবা। এর কারণে আমরা সুন্দরবন ও তিন পার্বত্য জেলায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছি। এতে যে ব্যয় হয়েছে তা কতদিনে উঠে আসবে জানি না। কিন্তু এর ফলে যে সেবাটা পাওয়া যাচ্ছে তার কোন তুলনা নেই। এটা আরও বিস্তৃত হবে। টেলিটক উত্তরোত্তর উপরে উঠবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক বান্ধব সব উদ্যোগেকে আমরা স্বাগত জানাই। টেলিটকের উদ্যোগ গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ্য আনবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমরা চাই অপারেটরগুলো কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিক। এগুলো হল, সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণ, মান নিশ্চিত করা, নতুন সেবার মাধ্যমে গ্রাহক কাছে পোঁছানো ও গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণ। আশা করি টেলিটকও এগুলো বিবেচনা করে কোয়ালিটি ও কাস্টমার সেবা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পণ্যদূত ও নাট্য অভিনেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে টেলিটকের লোগো পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় আশিকুর রহমান সৈকত নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তারানা হালিমের স্ট্যাটাসে নিচে লিখেছেন,
‘শুধুমাত্র লোগো পরিবর্তন করে লাভ হবেনা। টেলিটকের নেটওয়ার্কসহ সার্ভিস সিস্টেমের আমুল পরিবর্তন করতে হবে। কাষ্টমার কেয়ারের সার্ভিস অন্যদের তুলনায় অনেক বাজে। সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আরও বাজে। বিষয়গুলো খেয়াল করার জন্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।’
তাছাড়া মো: আলীনুর ইমন নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ম্যাডাম, আমার একটি ছোট মত আছে। তা হলো টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা। কল রেট এবং অন্য সিমের চেয়ে বেশী অফার দিয়ে দেশের টাকা দেশে রাখা তাহলে সরকারী সিম ব্যবহার করতে মানুষ আগ্রহী হবে।’
প্রসঙ্গত, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। টেলিটক জিপিআরএস, এজ এবং থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান শুরু করে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে। দেশে সবার আগে থ্রিজি সেবা চালু করলেও প্রতিষ্ঠানটিতে নানান দুর্নীতির কারণে এতদিন পিছিয়ে ছিল। তারানা হালিম টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টেলিটকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবার তাদের লোগো বদলে যাচ্ছে।
হাসিমুখে নতুন পথে চলার শপথে উন্মোচিত হলো বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রয়াত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের লোগো। বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্রান্ডিং কার্যক্রম’-এর উদ্ধোধন করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
নতুন লোগো উন্মোচন সম্বন্ধে তারানা হালিম তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘হাসিমুখে নতুন পথে- স্লোগান নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে টেলিটকের নতুন পথ চলা। টেলিটক আমাদের ফোন, আমাদের দেশ ও জনগণের সেবা প্রদান করায় টেলিটকের প্রধান লক্ষ্য। সেই কথা মাথায় রেখেই আজ থেকে শুরু হলো টেলিটকের নতুন পথ চলা। আমরা আজকে নিয়ে ভাবতে চাই, আমরা আগামী নিয়েও ভাবতে চাই।
অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেন, বর্তমানে টেলিটকের মোট ৪২ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ লাখ। বিভাগীয় শহর ছাড়াও ১০০টি উপজেলায় টেলিটকের থ্রিজি সেবা বিস্তৃত করা হয়েছে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাসে এর কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি জানান, দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু হলে জেলা পর্যায়ে তা সম্প্রসারণ করা হবে। একইসাথে ইউনিয়ন পর্যন্ত থ্রিজি নেটওর্য়াক সম্প্রসারণ করা হবে। এখন এটিএম বুথ ব্যবহার করে টেলিটকে রিচার্জ করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে কাস্টমার কেয়ার স্থাপন করতে চাই। সব মিলিয়ে টেলিটককে প্রাইভেট সেক্টরের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এখন ভারত বা হাঙেরি যে ডিজিটালাইজেশনের কথা বলে এর শুরু বাংলাদেশ থেকে। এসব বিবেচনা করে আমরা টেলিটকের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে টেলিটককে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপযুক্ত করে তোলা। এর প্রথম ধাপ হিসেবে লোগোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে টেলিটক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রচারে প্রবেশ করছে। ৩টি উদ্দেশ্যে আমরা এ কাজ শুরু করেছি। এগুলো হল- কাভারেজ সম্প্রসারণ, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। তিনি আরও বলেন, আমরা টেলিটকের দাপ্তরিক কাজের উন্নতি ঘটাতে চাই। এজন্য কর্মীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে।
টেলিটকের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, টেলিটকের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা নয় বরং সেবা। এর কারণে আমরা সুন্দরবন ও তিন পার্বত্য জেলায় নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করেছি। এতে যে ব্যয় হয়েছে তা কতদিনে উঠে আসবে জানি না। কিন্তু এর ফলে যে সেবাটা পাওয়া যাচ্ছে তার কোন তুলনা নেই। এটা আরও বিস্তৃত হবে। টেলিটক উত্তরোত্তর উপরে উঠবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গ্রাহক বান্ধব সব উদ্যোগেকে আমরা স্বাগত জানাই। টেলিটকের উদ্যোগ গ্রাহকের স্বাচ্ছন্দ্য আনবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমরা চাই অপারেটরগুলো কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিক। এগুলো হল, সারা দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃতকরণ, মান নিশ্চিত করা, নতুন সেবার মাধ্যমে গ্রাহক কাছে পোঁছানো ও গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণ। আশা করি টেলিটকও এগুলো বিবেচনা করে কোয়ালিটি ও কাস্টমার সেবা নিশ্চিত করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পণ্যদূত ও নাট্য অভিনেতা জাহিদ হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে টেলিটকের লোগো পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় আশিকুর রহমান সৈকত নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তারানা হালিমের স্ট্যাটাসে নিচে লিখেছেন,
‘শুধুমাত্র লোগো পরিবর্তন করে লাভ হবেনা। টেলিটকের নেটওয়ার্কসহ সার্ভিস সিস্টেমের আমুল পরিবর্তন করতে হবে। কাষ্টমার কেয়ারের সার্ভিস অন্যদের তুলনায় অনেক বাজে। সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আরও বাজে। বিষয়গুলো খেয়াল করার জন্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।’
তাছাড়া মো: আলীনুর ইমন নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ম্যাডাম, আমার একটি ছোট মত আছে। তা হলো টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা। কল রেট এবং অন্য সিমের চেয়ে বেশী অফার দিয়ে দেশের টাকা দেশে রাখা তাহলে সরকারী সিম ব্যবহার করতে মানুষ আগ্রহী হবে।’
প্রসঙ্গত, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। টেলিটক জিপিআরএস, এজ এবং থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান শুরু করে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে। দেশে সবার আগে থ্রিজি সেবা চালু করলেও প্রতিষ্ঠানটিতে নানান দুর্নীতির কারণে এতদিন পিছিয়ে ছিল। তারানা হালিম টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টেলিটকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবার তাদের লোগো বদলে যাচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment