
আর যেসব দেশে অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল রয়েছে বা নিদেনপক্ষে কোন ধরনের সমঝোতা চুক্তি আছে, সেসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি বা আইডি আন্তর্জাতিক শান্তি বিনষ্টের জন্য কাজ করছে কি না। এছাড়া কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ বা সংঘর্ষের সাথে তার যোগসাজশ পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির তথ্য ফেসবুক সরকারকে সরবরাহ করে থাকে এবং সে দেশের সরকারের চাওয়া-অনুরোধকেও গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট আইডির আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) নম্বর যদি ওই দেশের হয়ে থাকে, তাহলে ফেসবুক সেগুলো বন্ধ করতে পারে বা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে। কাঙিক্ষত আইপি সংশ্লিষ্ট দেশের না হলে ফেসবুক সেগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয না। এ কারণে কোনো সরকারের চাওয়ার বিপরীতে ফেসবুক শতভাগ তথ্য দেয় না ।
তবে গেল বছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন 'নিরাপত্তার স্বার্থে' বাংলাদেশে ফেসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে বাংলাদেশ। ওই সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ বা অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাই ব্যবহার করে থাকেন।
প্রসঙ্গত, প্রতি ছয় মাস পরপর ফেসবুক ‘গভর্মেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে, তা জানানো হয় না। তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে সবাই বিটিআরসির দিকেই ইঙ্গিত করে থাকেন। এছাড়া এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায় তা তুলে ধরা হলেও কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় তা উল্লেখ করা হয় না।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন দেখা যাবে https://govtrequests.facebook.com/country/Bangladesh/ এই ঠিকানা থেকে।
0 comments:
Post a Comment