Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

Saturday, June 16, 2018

Check How Many SIM Registered Under Your/Any National ID (NID) Grameenphone Banglalink Robi airtel Teletalk Citycell

Important Info

Maximum/Total 15 SIM(s) of Any Operator can be registered under 1 NID
দেখুন কতটি সিম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে (বাংলালিঙ্ক, গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক)
দেখুন কতটি সিম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে

Extra SIM(s) Will be disable After 28 February,2018
To Avoid this,
Go to customer care and disable extra sim
or Transfer the ownership to other family members if needed.

Check Total SIM(s) with all numbers
Type Last 4 Digit of NID and send to 16001
or Dial *16001# then reply with Last 4 Digit of NID

Sunday, May 22, 2016

অনুমোদন পেল এমএনপি: কার্যকর সেপ্টেম্বরে

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এদিকে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার তাঁর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এমএনপি সেবা চালু হচ্ছে ।
সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে এমএনপি
MNP
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএনপি লাইসেন্স দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারবে। বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার জানিয়েছেন, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী এমএনপির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এটি বিটিআরসিতে পাঠানো হবে। তারা এরপর বিটিআরসি এমএনপি সেবার কাজ দিতে নিলামের প্রস্তুতি নেবে। এদিকে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার তাঁর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এমএনপি সেবা চালু হচ্ছে। মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের পরিষেবা স্বচ্ছ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এরপর তা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশোধিত খসড়া নীতিমালার কোন পরিবর্তন ছাড়াই অনুমোদন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

অপারেটর পরিবর্তনের এই বিধান বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে। নতুন এই নীতিমালায় কোন গ্রাহক ইচ্ছে করলেই তার মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে তার পছন্দমতো অপারেটরে যেতে পারবেন। আবার প্রয়োজনে আগের অপারেটরে ফিরেও আসতে পারবেন। এজন্য তাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই সুবিধা দিতে অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই অনুমোদন করেছে। একবার এমএনপি সুবিধা নেয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোন অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে।

আরো দেখুনঃ মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমএনপি পরিচালনার অভিজ্ঞতা, টেকনিক্যাল ও সিস্টেম ডিজাইনের অভিজ্ঞতা, গ্লোবাল ফুট প্রিন্ট, টেকনিক্যাল ক্যাপাসিটি, ফিনানশিয়াল এ্যানালাইসিস, রোল আউট ম্যানেজমেন্ট, রিস্ক ম্যানেজমেন্টসহ ৯টি মানদণ্ডে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে আগ্রহী দরদাতাদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর আগ্রহীদের আবেদনের সঙ্গে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন কমিটি যোগ্যতা নিরূপণ করে নম্বর দেবে। এরপর যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি। সেই যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়েই নিলামের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে আগে কোন নীতিমালা না থাকায় কোন অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলে অন্য কোন অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ কোন গ্রাহকের ছিল না। এই সেবা চালু হওয়ার পরই যে কেউ নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। গত বছর ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তার আগে বিটিআরসি গ্রাহকদের অপারেটর বদলানোর সুযোগ করে দিতে প্রস্তাবনা তৈরি করে। এরপর তা গত বছর অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠালে মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তারের অনুমতি প্রদান করে। পরে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালের জুনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। তখন বিটিআরসি এই নির্দেশ অপারেটরদের দিলেও গাইড লাইন না থাকায় অপারেটররা সঠিক সময়ে এই সেবা চালু করতে পারেনি। এরপর বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে এমএনপি চালু করতে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে দেয়া হয়। সরকারের কাছে অনুমোদিত হয়ে এলে এটার টেন্ডার এবং লাইসেন্স হবে। যে লাইসেন্স পাবে সে এটাকে অপারেট করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ওই বছরের অপারেটরদের এমএনপি সুবিধা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে দেয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। ৭ মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে হবে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজের লাইসেন্স দেয়ার নিলাম পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় যোগ্যতার নতুন শর্ত যোগ করার উদ্যোগ নেয় টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় খসড়া সংশোধন করে কয়েকটি বিষয় নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত করে বিটিআরসির লিগ্যাল এ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগ। নিলাম প্রক্রিয়ায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা মূল্যায়ন করতে আগে নীতমালায় সুনির্দিষ্ট কোন মানদণ্ডের উল্লেখ ছিল না। সংশোধনের পর সেখানে ৯টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়নের কথা বলা হয়।

নতুন সংশোধনীর পর যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়, তাতে বিড আর্নেস্ট মানি পাঁচ লাখের বদলে ১০ লাখ টাকা, বেইজ প্রাইস ৫০ লাখের জায়গায় এক কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি ১০ লাখের বদলে ২০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়। এছাড়া নীতিমালায় এমএনপি সংশ্লিষ্ট ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভিএএস) দেওয়ার সুযোগ, এক শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে কার্যক্রম (রোলআউট অবলিগেশন) শুরুর বিধান রাখা হয়েছে। ‘রোলআউট অবলিগেশন’ পূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে নিলামে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে এই নীতিমালায়। খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও এ নিলামে অংশ নিতে পারবে। তবে তাদের বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হবে ৫১ শতাংশ এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ। নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে ১৫ বছরের জন্য এবং এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে।

এদিকে বুধবার তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এ বছরের সেপ্টেম্বরে এই সেবাটি চালু হতে যাচ্ছে। এমএনপি সেবা চালু হলে বাংলাদেশের যে কোনো মোবাইল গ্রাহক তার নম্বর ঠিক রেখেই অন্য কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন। তিনি লিখেছেন, আমি আনন্দিত, আসছে এমএনপি সার্ভিস। প্রধানমন্ত্রী এমএনপি গাইডলাইনে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং আপনাদের আকাঙ্ক্ষিত এমএনপি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে এ বছরের মধ্যেই। ‘এই সেবা চালু হলে বাংলাদেশের যে কোনো মোবাইল গ্রাহক তার নাম্বারটি ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি যদি এখন ০১৭ কোডের গ্রামীণফোনের গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে ওই একই ০১৭ রেখেই আপনি অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য যে কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্ক পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন।’

আরো দেখুনঃ স্লো ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কানেকশন সমস্যার সহজ কিছু সমাধান

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই এমএনপি নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাইডলাইনে বেশ কিছু পরিবর্তনের কারণে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় এক মাস দেরি হয়েছে বলে জানান তারানা হালিম। ‘আশার কথা হলো এ বছরের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে এমএনপি সার্ভিস।’ তারানা হালিম লিখেছেন, আমি প্রতিটা কাজের জন্য সর্বদা যে ডেডলাইন ঠিক করেছি, সেই ডেডলাইনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। ‘এরই ধারাবাহিকতায় এমএনপি লাইসেন্সের নিলাম প্রক্রিয়াও দুই তিন মাসের মধ্যে শুরু করা এবং এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই এই সার্ভিস শুরু করা আমার অগ্রাধিকারমূলক কাজ সমূহের মধ্যে একটি।’

প্রসঙ্গত, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে।একবার এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে। অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যেতে পারবে।

Thursday, May 19, 2016

চিপসেটঃ আসুন চিপসেট সম্পর্কে জানি ।


চিপসেট কি ?

চিপসেট (chipset) হলো একাধিক চিপের সমষ্টি যা সাধারণত মাদারবোর্ডে ব্যাবহার করা হয়। চিপসেট সমূহ এক্সপেনশন কার্ড (যেমনঃ গ্রাফিক্স কার্ড) –এও ব্যাহৃত হতে পারে। এই চিপসেটগুলো মূলত প্রসেসরের সাথে বিভিন্ন এক্সটারনাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট (component) এর সাথে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আরো দেখুনঃ এবার কম্পিউটার বন্ধ হবে আপনার দেওয়া সময় মত
ইনটেল চিপসেট
Intel Chipset
মূলত একই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট চিপসমূহ বা Integrated Circuits নিয়ে চিপসেট গঠিত হয়। যেমন ধরা যাক আপনার কম্পিউটারে মডেমের কাজ করার জন্য এক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। আবার সিপিউ এর সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য আরেক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। তবে বর্তমানে একাধিক কাজ করতে পারে এমনও চিপসেট তৈরী করা হচ্ছে।
পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য সর্বপ্রথম চিপসেটটির নাম ছিলো NEAT chipset. এটি IBM PC AT এর Intel 80268 সিপিউর জন্য Chips andTechnologies তৈরী করেছিলো।
-->

নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজ

ইন্টেলের পেইন্টিয়াম সিরিজের মাইক্রোপ্রোসেসরগুলোর উপর ভিত্তি করে যে চিপসেটগুলো তৈরী করা হয় সেগুলো সাধারণত মাদারবোর্ডের “নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজ” (Northbridge and Southbridge) নামেই পরিচিত।
মাদারবোর্ড ব্রিজ
Motherboard
নর্থব্রিজ প্রসেসরের (CPU) সাথে উচ্চগতির ডিভাইসসমূহর সংযোগ রক্ষা করে। এই উচ্চগতির ডিভাইসসমূহ বলতে মেইন মেমোরী (RAM) এবং গ্রাফিক্স কন্ট্রোলারকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
উত্তর ব্রীজ
North Bridge
সাউথব্রিজ সাধারণত নিম্নগতির বাস (BUS যেমনঃ PCI অথবা ISA) এর সাথে প্রসেসরকে যুক্ত করে। তবে বর্তমানে অনেক আধুনিক চিপসেটের সাউথব্রিজে Ethernet, USB, audio ইত্যাদি বিল্টইন ডিভাইসমূহের চিপ সংযুক্ত থাকে।
দক্ষিন ব্রীজ
South Bridge

HyperTransport এবং QuickPath

প্রসেসরের সাথে মেইন মেমোরির যুক্ত করার পথকে বলা হয় ফ্রন্ট সাইড বাস (Front Side Bus বা সংক্ষেপে FSB) । এবং এই FSB সরাসরি নর্থব্রিজই কন্ট্রোল করত। ২০০৩ সালে চিপসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এএমডি Athlon সিরিজের ৬৪ বিট প্রসেসর সর্বপ্রথম বাজারে নিয়ে আসে। এই ৬৪ বিট প্রসেসরের জন্য মেইন মেমোরীর সাথে আরও উচ্চগতির যোগাযোগ সম্পন্ন করার প্রয়োজন হয়। এজন্য তারা HyperTransport নামক একটি নতুন protocol নিয়ে আসে যা FSB র সকল কাজ নিজ দায়িত্বে নেয়।
কিন্তু ২০০৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত Intel এর চিপসেট যুক্ত মাদারবোর্ডে FSB র দায়িত্ব নর্থব্রিজের উপরেই ছিলো। ২০০৮ সালে ইন্টেল Core I সিরিজের মাইক্রোপ্রোসেসর বাজারজাত করে এবং একই সাথে তারা FSB এর কাজগুলো QuickPath নামক একটি নতুন protocol এর সাহায্যে করে। Intel QuickPath protocol নিয়ে আসে মূলত এএমডির সাথে প্রতিযোগীতার জন্যেই। তবে ইন্টেলের নতুন কিছু মাদারবোর্ডে সাউথব্রিজ ও নর্থব্রিজের পরিবর্তে Platform ControllerHub নামক নতুন একটি IC ব্যবহার করা হয়।

এএমডি চিপসেট
AMD Chipset

চিপসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

পূর্বে কম্পিউটারের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান চিপসেট নির্মাণ করতো। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র AMD, Intel ও VIA কম্পিউটারের জন্য চিপসেট নির্মাণ করছে। AMD ও Intel শুধুমাত্র তাদের প্রস্তুকৃত প্রসেসরের জন্যেই চিপসেট নির্মাণ করে। তবে VIA ইন্টেল ও এএমডি উভয় প্রসেসরের জন্যেই চিপসেট নির্মাণ করে থাকে। এছাড়াও পূর্বে যে সকল প্রতিষ্ঠান চিপসেট নির্মাণ করতো তারা হলো  ATI, SIS, nVIDIA, ULi/ALi, UMC, OPTi ইত্যাদি।

VIA Chipset ভায়া চিপসেটএকটু কনফিউশন

অনেকের মধ্যেই মাদারবোর্ড এবং চিপসেটের মধ্যে কনফিউশন থাকতে পারে। যেমনঃ মাদারবোর্ডে ইন্টেলের চিপসেট আছে বলেই তা ইন্টেলের মাদারবোর্ড হবে এমন না। ASUS, Gigabyte, MSI, ECS, ASRock, Biostar  এবং Intel মাদারবোর্ড প্রস্তুত করে। মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইনটেল অথবা এএমডির কাছ থেকে চিপসেট কিনে তাদের মাদারবোর্ডে যুক্ত করে। তবে প্রথম আলো পত্রিকা থেকে জানতে পেরেছি যে Intel আর মাদারবোর্ড প্রস্তত করবে না।

Friday, April 29, 2016

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিল ফেসবুক

বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধে প্রথমবারের মতো সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। গত বছরের শেষ ছয় মাসের তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুক প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ উল্লেখ করা হয় এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৪টি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে, যেসব দেশে ফেসবুকের অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল নেই, সেসব দেশের সরকার কোনো ব্যক্তির তথ্য চেয়ে পাঠালেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেয় না। তবে অনুরোধের বিপরীতে যথার্থ কারণ খুঁজে পেলে সংশ্লিষ্ট আইডি ব্লক করে বা ক্ষতিকর পোস্ট সরিয়ে ফেলে ফেসবুক।


আর যেসব দেশে অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল রয়েছে বা নিদেনপক্ষে কোন ধরনের সমঝোতা চুক্তি আছে, সেসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি বা আইডি আন্তর্জাতিক শান্তি বিনষ্টের জন্য কাজ করছে কি না। এছাড়া কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ বা সংঘর্ষের সাথে তার যোগসাজশ পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির তথ্য ফেসবুক সরকারকে সরবরাহ করে থাকে এবং সে দেশের সরকারের চাওয়া-অনুরোধকেও গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট আইডির আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) নম্বর যদি ওই দেশের হয়ে থাকে, তাহলে ফেসবুক সেগুলো বন্ধ করতে পারে বা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে। কাঙিক্ষত আইপি সংশ্লিষ্ট দেশের না হলে ফেসবুক সেগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয না। এ কারণে কোনো সরকারের চাওয়ার বিপরীতে ফেসবুক শতভাগ তথ্য দেয় না ।

তবে গেল বছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন 'নিরাপত্তার স্বার্থে' বাংলাদেশে ফেসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে বাংলাদেশ। ওই সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ বা অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাই ব্যবহার করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে বাংলাদেশ তিনবারে ৩৪টি আইডির তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় ফেসবুকের কাছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি আবেদনে ১২ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সাতটি আবেদনে ১৭ জন এবং একই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি আবেদনে পাঁচটি, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩টি আবেদনে তিনটি এবং সবশেষে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি আবেদনে ৩১ জনের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ সরকার।

প্রসঙ্গত, প্রতি ছয় মাস পরপর ফেসবুক ‘গভর্মেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে, তা জানানো হয় না। তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে সবাই বিটিআরসির দিকেই ইঙ্গিত করে থাকেন। এছাড়া এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায় তা তুলে ধরা হলেও কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় তা উল্লেখ করা হয় না।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন দেখা যাবে https://govtrequests.facebook.com/country/Bangladesh/ এই ঠিকানা থেকে।

Wednesday, April 27, 2016

৪ ও ৬জিবি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে আসতে পারে ওয়ান প্লাস ৩

সম্প্রতি জার্মান ওয়েবসাইট উইনফিউচার এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়ান প্লাস ৩ স্মার্টফোনটি ২৮ মে জনসম্মুখে উন্মোচিত হতে পারে। তাছাড়া স্মার্টফোনটিতে ৬জিবি র‌্যাম এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর থাকবে বলেও জানায় ওয়েবসাইটটি।
৪ ও ৬জিবি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে আসতে পারে ওয়ান প্লাস ৩
ONEPLUS 3

শাওমি মি ৫ ফ্ল্যাগশিপের পর এবার সবার চোখ ওয়ান প্লাস ৩ স্মার্টফোনের দিকে। সম্প্রতি অনলাইনে ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে ওয়ান প্লাস ৩’তে ৪ জিবি র্যা ম থাকবে। তবে মডেলটি ৬ জিবি র্যা ম ভ্যারিয়েন্টেও আসবে বলে গুজব উঠেছে। স্মার্টফোন উন্মোচনের সম্ভাব্য তারিখ চলে আসায় এখন সবার একটাই প্রশ্ন ফোনটি ৪জিবি নাকি ৬জিবি র্যা মে বাজারে আসবে। তবে অনেকের ধারণা ফোনটি ৪জিবি এবং ৬জিবি দুই ভ্যারিয়েন্টেই বাজারে আসবে।

সম্প্রতি জার্মান ওয়েবসাইট উইনফিউচার এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়ান প্লাস ৩ স্মার্টফোনটি ২৮ মে জনসম্মুখে উন্মোচিত হতে পারে। তাছাড়া স্মার্টফোনটিতে ৬জিবি র‌্যাম এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর থাকবে বলেও জানায় ওয়েবসাইটটি। তবে ওয়ান প্লাস ৩ স্মার্টফোনটির ডিজাইনে ব্যাপক কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনে ফাঁস হওয়া ছবিতে কিছুটা ভিন্নরকমের ডিজাইনের স্মার্টফোন দেখা যাচ্ছে। স্মার্টফোনটিতে পূর্বেকার ফোনগুলোর মতো ফ্লন্ট কারভায়ার এজ আছে। তাছাড়া ফোনটির সাইড বাটনে একটি ক্যামেরা বাটনও যুক্ত করা হয়েছে।

স্মার্টফোনটির সামনে কার্ভড গ্লাস এবং নিচের দিকে বড়সড় স্পিকারের ঝাঝরি যুক্ত করা হয়েছে। এটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর হিসেবেও কাজ করবে। স্মার্টফোনটিতে ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশসহ ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকবে। ফোনটির নিচে চার্জিং পোর্টসহ ইউএসবি সি পোর্ট আছে। তাছাড়া ওয়ান প্লাস ৩ স্মার্টফোনটিতে ১৯২০*১০৮০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ৫.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে থাকবে।

Tuesday, April 26, 2016

৭ কোটি আঙুলের ছাপ চুরি হয়েছে

তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষের আঙুলের ছাপ ও পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে গেছে। গত মার্চে এ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
৭ কোটি আঙুলের ছাপ চুরি হয়েছে Philippines Elections Hack leaks Voter Data
আগামী ৯ মে ফিলিপাইনের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষের আঙুলের ছাপ ও পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে গেছে। গত মার্চে এ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দাবি- হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৯ মের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

ফিলিপিনো গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দ্য ফিলিপাইনস কমিশন অন দ্য ইলেকশনসের (কমেলেক) ওয়েবসাইটটি মার্চ মাসের শেষ দিকে হ্যাক করা হয়। এ ঘটনার কিছুদিন পর 'লুলজসেক ফিলিপাইনস' নামের অপর এক হ্যাকার দল কমেলেকের পুরো ডাটাবেজ অনলাইনে প্রকাশ করে দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেন্ড মাইক্রো’র মতে- এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সরকারি তথ্য চুরির ঘটনা। এর আগে ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের’ ভাণ্ডার থেকে দুই কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর হ্যাক করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ফিলিপাইনে প্রতি ৬ বছর পরপর সাধারণ নির্বাচন হয়। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটি নতুন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৮ হাজরেরও বেশি প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। দ্যা ফিলিপাইন কমিশন অন দ্যা ইলেকশনস (সংক্ষেপে কমইলেক)-এর তথ্য অনুসারে তাদের ওয়েবসাইটটি মার্চ মাসের শেষ দিকে হ্যাক করা হয়েছে। ফিলিপাইনের অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। দলটির দাবি, তারা ৯ মে’র নির্বাচনে যে স্বয়ংক্রিয় ভোটিং মেশিনগুলো ব্যবহৃত হবে সেগুলোসহ ভোট গ্রহণ ব্যবস্থাটির দুর্বলতাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার কিছুদিন পর ‘লুলজসেক ফিলিপিন্স’ নামে অপর এক হ্যাকার দল কমইলেক-এর সম্পূর্ণ ডাটাবেজ অনলাইনে পোস্ট করে দিয়েছিল।


ফিলিপাইনের হ্যাকিংটি কত বড়?

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেন্ড মাইক্রো’র মতে এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সরকারি তথ্য চুরির ঘটনা, যেটি ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের’ হ্যাকিংয়ের ঘটনার চেয়েও বড়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই হ্যাকিংয়ে দুই কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর হ্যাক করা হয়েছিল, যদিও এখন পর্যন্ত তথ্যগুলো অনলাইনে পাওয়া যায়নি। পানামার আইন ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার মতে, এপ্রিলের শুরুতে সেখানে ১১ কোটির বেশি ডকুমেন্ট ফাঁস হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি অনলাইন ডেটিং সাইট ‘এশলে মেডিসন’, যুক্তরাষ্ট্রের  ডিপার্টমেন্ট স্টোর ‘টার্গেট’ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক প্রতিষ্ঠান ‘সনি’-তেও এমন তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেন্ড মাইক্রো এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ফিলিপাইনে প্রত্যেক নিবন্ধনকৃত ভোটারই এখন জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির আশঙ্কায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে যে, স্বাস্থ্যসেবাদাতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কতটা নিরাপদ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা?

ট্রেন্ড মাইক্রোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রায়ান ফ্লোরেস বিবিসিকে জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এমন ঘটনা আরো ঘটবে । তাই হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়া প্রতিহত করতে ওই সব দেশে তথ্য নিরাপত্তা দল গঠনের মাধ্যমে  ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার ওপর জোড় দেন ফ্লোরেস। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোর নিজস্ব কোনো সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠান নেই। স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে ট্রেন্ড মাইক্রো। ট্রেন্ড মাইক্রোর ম্যানেজার রায়ান ফ্লোরেস মনে করেন, এমন ঘটনা আরো ঘটবে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। তাই এটি প্রতিহত করতে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ প্রয়োজন। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে একটি দল থাকবে যারা খুব সংবেদনশীল তথ্যগুলো এবং ট্র্যাক করা যেতে পারে এমন সফটওয়্যার ইনস্টল করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লোরেস আরও বলেছেন, ‘ফিলিপাইনের মতো দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা নেই’। ‘অসৎ উদ্দেশ্য আছে এমন যে কেউ এর মাধ্যমে ভোটের ফল পাল্টে দিতে পারে।’

তথ্যসুত্রঃ বিবিসি



Monday, April 25, 2016

ভোগান্তি দূর করতে আসছে ই-পাসপোর্ট

বিশ্বের ১১৮টি দেশের পর এবার বাংলাদেশেও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বয়সভেদে পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাঁদের এখন এমআরপি পাসপোর্ট আছে, মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্টে পাতায় থাকা চিপসে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এতে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপসহ সিকিউরিটি চিহ্ন থাকবে। এই সিকিউরিটি ব্যবস্থার কারণে পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে। যেসব দেশে ই-পাসপোর্টের সুবিধা রয়েছে, সেখানে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

e-Passport in Bangladesh
ePassport
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্টের মেয়াদ বয়সভেদে পাঁচ ও দশ বছর করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৮ বছরের নিচে ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এবং ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের জন্য ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। বর্তমানে সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট করতে যথাক্রমে তিন হাজার ও ছয় হাজার টাকা ফি দিতে হয়। এবার পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট নিতে যথাক্রমে সাড়ে ৫ হাজার ও ১১ হাজার টাকা ফি লাগবে। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হলে সাধারণ পাসপোর্ট করতে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টে ১২ হাজার ৬৫০ টাকা খরচ হবে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র, বাংলাদেশি শ্রমিক-অধ্যুষিত মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিছুদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও) দেন।


এদিকে রোববার আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৬’ এবং বিভাগীয় আঞ্চলিক ১০টি পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট চালু হওয়ার পরে পাসপোর্ট ইস্যুতে প্রতারণার অবসান ঘটবে। এখন আরও নতুন প্রযুক্তি এসে গেছে। তাই ইলেকট্রনিক পাসপোর্টও আমরা তৈরি করব, এ পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটছে। এই অধিদফতরকে ডিজিটাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। 

Sunday, April 24, 2016

৪ প্যাকেজে ২৩০ টেলিভিশন চ্যানেল দেখাবে ‘জাদু ডিজিটাল’

জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্স, যা এই মুহূর্তে ২৩০টিরও বেশি ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল ডেলিভার করছে। চ্যানেলের সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য জাদু সেভার, জাদু ভ্যালু, জাদু সুপার এইচডি ও জাদু প্রিমিয়াম এইচডি নামে ৪টি ফ্যান্টাস্টিক প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
৪ প্যাকেজে ২৩০ টেলিভিশন চ্যানেল দেখাবে ‘জাদু ডিজিটাল’

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো জাদু ডিজিটাল। শনিবার সন্ধায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুল হক।

আরো পড়ুনঃ দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্স, যা এই মুহূর্তে ২৩০টিরও বেশি ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল ডেলিভার করছে। চ্যানেলের সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য জাদু সেভার, জাদু ভ্যালু, জাদু সুপার এইচডি ও জাদু প্রিমিয়াম এইচডি নামে ৪টি ফ্যান্টাস্টিক প্যাকেজ ডিজাইন করেছে। গ্রাহক তার পছন্দ মতো প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করে এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন জাদু।
এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে, টেলিভিশন - মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কারগুলোর একটি। ১৯২৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই টেলিভিশন সবার দৈনন্দিন বিনোদনের অন্যতম উৎস। সময়ের পরিবর্তনে একে একে এসেছে ইলেকট্রিক টেলিভিশন, ডিজিটাল টিভি, এইচডি টিভি। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সংযোজন হয় স্মার্ট টিভি ও থ্রিডি টিভি। বিনোদন-প্রেমিরাও এক্সপেরিয়েন্স বদলাতে পাল্টেছেন টিভি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলায়নি শুধু টেলিভিশন দেখার গতানুগতিক অভিজ্ঞতা। কারণ টিভি যতই উন্নত হোক, কেবল সার্ভিস যদি ডিজিটাল না হয়, তাহলে কখনোই বদলাবে না আপনার টিভি দেখার ঝিরঝিরে এক্সপেরিয়েন্স।
টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স বদলে দিতেই এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্সসহ ডিজিটাল কেবল সার্ভিস নিয়ে এলো এক জাদুর বাক্স, জাদু ডিজিটাল। হাই ডেফিনিশন প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নিয়ে সারাদেশে ডিজিটাল কেবল সার্ভিসের বিপ্লব ঘটাতে এলো এই জাদুর বাক্স। গ্রাহকদের জন্য যুগান্তকারী বিনোদন এবং কমিউনিকেশন এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করাই জাদু ডিজিটাল-এর লক্ষ্য।
বর্তমান কেবল অপারেটরদের সহযোগিতায় গ্রাহকরা এই সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন। ঝকঝকে ছবি ও ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ডে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনোদন। শুধুমাত্র অসংখ্য চ্যানেলের অভিজ্ঞতাই নয়, জাদু’র গ্রাহকরা আরো পাবেন ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও অন ডিমান্ড, ইলেক্ট্রনিক প্রোগ্রাম গাইড, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও আইপি টেলিফোনির মতো বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস এবং ২৪ ঘণ্টা ওয়ার্ল্ড ক্লাস কল সেন্টার সাপোর্ট। যেগুলো বিনোদনকে নিয়ে যাবে এক অন্য উচ্চতায়। আরো জানতে ভিজিট করুন www.jadoodigital.com এই ঠিকানায়।

মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’ IMEI LOCK LAUNCHED IN BANGLADESH TO STOP THEFTদেশের চলমান চুরি, ছিনতাই এবং অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে মোবাইল ফোনে ‘আইএমইআই লক’ চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর প্রক্রিয়া হিসেবে আগামী এক মাসের মধ্যে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরের তথ্যভাণ্ডার চালু করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বরের ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সবার হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিতে বিদ্যমান করকাঠামো পুণ:বিবেচনা করা হতে পারে। টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে  আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। মোবাইলফোন হ্যান্ডসেটের বিদ্যমান কর কাঠামো পুণঃবিবেচনা করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে  উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সবার হাতে স্মার্ট মোবাইল হ্যান্ডসেটে পৌঁছে দিতে এ খাতের বিদ্যমান কর কাঠামো প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে।' 

আরো দেখুনঃ আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হল বাংলাদেশে

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উপকরণ হ্যান্ডসেট ও টেলিকম নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস সেবা এ হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। আমাদের মোবাইল মার্কেট বড় হচ্ছে, স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ছে, ইন্টারনেটের ৯৫ শতাংশেরও বেশী বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।” তারানা বলেন, “যত মানুষের হাতে স্মার্টফোন পৌছাবে, তত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস ব্যবহার করার ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। হ্যান্ডসেট আমদানি থেকে যে এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় তার চেয়ে বেশী আয় হতে পারে।”

টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, “শুধু মোবাইল হ্যান্ডসেট নয়, সুযোগ পেলে সব কিছু দেশে উৎপাদিত হবে না কেন?এই  মোবা্ইল ফোন আনতে হলে ২০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয় আর তৈরী করার জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে আসলে খরচ হয় ৩৭ শতাংশের বেশি। যারা মোবাইল ফোন আমদানি করেন তারা দ্রুত এ বিষেয় আবেদন করেন, যেখানে যা প্রয়োজন আমরা করবো।”
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক বলেন, “একটি ব্যবসা বান্ধব নীতিমালা দরকার। দুই বছর আগে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ হ্যান্ডসেটে কর আরোপ করা হয় ফ্যাক্টরি হবে এই বলে, তবে তা হয়নি। হ্যান্ডসেট তৈরীর জন্য কর কাঠামো কমালে আমরা এগিয়ে আসতে পারবো। ৫ শতাংশ কর করা হলে  আগামী তিন বছরে আমদানি নির্ভর দেশ থেকে বের হয়ে আসবো। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো এখানে আসতে শুরু করবে। ট্যাক্স ফ্রেন্ডলি হলে দেশে সব ধরণের ব্র্যান্ড তৈরী হবে।” স্মার্টফোনের যে ২০ শতাংশ গ্রোথ রয়েছে, করকাঠামো পুন:বিবেচনা করা হলে এ গ্রোথ আরো বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন মানিক।

বিএমপিআইএ সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, “বর্তমানে দেড় কোটি হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। কথা বলা নয় এই ডিভাইসে সব ধরণের কাজ করা হচ্ছে। দেড় কোটি স্মার্টফোন হওয়াতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা যদি সবার হাতে এই স্মার্টফোন তুলে দেয়া যায় তাহলে ৭ থেকে ৮ কোটির একটি বিশাল মার্কেট হবে। এজন্য একটি মাস্টার রোডম্যাপ দরকার, একটি নীতমালা করা দরকার আগামী বছরগুলোতে আমরা কোন অবস্থানে থাকতে চাই।”
সরকারের কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর মহাপরিচালক ড. মইনুল খান, ঢাকা কাস্টটম হাউজ কমিশনার লুৎফর রহমান, বিটিআরসি মহাপরিচালক কর্নেল নাসিম পারভেজ, অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) প্রতিনিধি এবং গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন  এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলমসহ টেলিযোগাযোগখাতের সংশ্লিষ্টরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।

Saturday, April 23, 2016

দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে। 


দেশে প্রথম ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা রিয়েল ভিইউ চালু করতে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এই প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি টেলিভিশন সিগন্যাল গ্রহনের মাধ্যমে গ্রাহকেরা বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। তাই টিভি দেখার বিশ্বের সর্বাধুনিক সুবিধা এবং প্রযুক্তি দেশে চালু হতে যাচ্ছে। মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে। 

মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ডিটিএইচ সেবা দিয়ে ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন
ডিটিএইচ
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস এর প্রধান নির্বাহি দিমিত্রি লেপিস্কি এসব কথা জানান। তিনি আরো বলেন, “খুব শীঘ্রই রিয়েল ভিইউ ব্র্যান্ড নামে ডিটিএইচ সেবা চালু করতে আমরা সম্পূর্ণ তৈরি এবং বাংলাদেশের টিভি দর্শকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতায় আমূল পরিবর্তন আনবে এই সেবা। এবিএস স্যাটেলাইট বীমের প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে শুরুতে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে এই সেবা প্রদান করা হবে এবং ধীরে ধীরে সারা দেশের মানুষই এই সেবা গ্রহন করতে পারবেন।” রিয়েল ভিইউ এর ছবি অ্যানালগ কেবল টিভির ছবির চেয়ে অনেক গুণ ভালো হবে বলেও জানান তিনি। 
রিয়েল ভিইউ সেবা নিতে একজন গ্রাহকের দরকার পড়বে একটি সেট টপ বক্স এবং ডিশ অ্যান্টেনা। ইন্সটলেশন এবং মূল্য পরিশোধের পরই একজন গ্রাহক ডিটিএইচ সেবা উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েল ভিইউ গ্রাহকদের জন্য থাকছে ২৪ ঘন্টা গ্রাহকসেবা সুবিধা। মাসিক বিল পরিশোধ করা যাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। গ্রাহকের দোরগড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড ডিস্ট্রিবিউটেরদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সরকার বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে দেশে ডিটিএইচ সেবা চালুর লাইসেন্স প্রদান করে। এই সেবা চালুর জন্য সকল প্রয়োজনীয় অনুমোদন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) প্রদান করেছে। এখন কোম্পানিটি গ্রাহকদের টিভি দেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার শেষ ধাপে রয়েছে।

রিয়েল ভিইউ বেক্সিমকো এবং জিএস গ্রুপের একটি যৌথ উদ্যোগ। বেক্সিমকো বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। কমোডিটি পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করলেও কোম্পানিটি এখন বিভিন্ন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে যেগুলোর অবদান দেশের জিডিপিতে শতকরা ৭৫ ভাগ। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নিয়ে যাওয়াই কোম্পানিটির লক্ষ্য। এ লক্ষ্যেই পরবর্তী প্রজন্মের বিনোদন চাহিদা মেটাতে ডিটিএইচ সেবা চালু করা। অপরদিকে জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি যারা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবা দিচ্ছে।
জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়ান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যেটি টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। শুধু বাংলাদেশই নয় জিএস গ্রুপ কম্বোডিয়া এবং পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিয়ে আসছে। এই ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। রাশিয়াতে ন্যাশনাল ডিজিটাল টিভি প্রজেক্ট তারাই প্রনয়ন করেছে এবং ব্যবস্থাপনাও করছে, পাশাপাশি সফলভাবে প্রযুক্তি রপ্তানীতেও তারা অত্যন্ত সফল। ডিটিএইচ এমন একটি ডিজিটাল টেলিভিশন ডিস্ট্রিবিউশন সেবা যেখানে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে বাসায় স্থাপিত ডিজিটাল সেট টপ বক্সের মাধ্যমে টিভি সিগন্যাল গ্রহন করতে পারবে। বর্তমানে প্রচলিত যে কেবলের মাধ্যমে দর্শকরা টিভি দেখে থাকেন সে কেবলের আর প্রয়োজন থাকবে না ডিটিএইচ সেবা গ্রহন করার পর।

দেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক ডিটিএইচ সেবা চালু হচ্ছে আজ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হাই ডেফিনিশন, প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক ‘ডিরেক্ট টু হোম’ (ডিটিএইচ) সেবা চালু করছে ‘জাদু ডিজিটাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অন্তত ৬ জন মন্ত্রী উপস্থিত থেকে এই সেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এর আগে গত ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস ‘রিয়েল ভিইউ’ নামে সেবাটি চলতি এপ্রিলে চালু করার ঘোষণা দিলেও তার আগেই জাদু ডিজিটাল আজ সবার আগে এটি চালু করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।
জাদু ডিজিটালের আমন্ত্রণপত্র থেকে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আরো দেখুনঃ দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

এর আগে জাদু ডিজিটাল জানিয়েছিল, ডিজিটাল কেবল সার্ভিসের বিপ্লবে নতুন সদস্য যোগ হচ্ছে জাদু ডিজিটাল। হাই ডেফিনিশন, প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নিয়ে সারা দেশে আসছে এই জাদুর বাক্স। প্রতিষ্ঠানটি মার্চ মাস থেকে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু এবং এপ্রিলে (২৩ এপ্রিল) নিজস্ব সেট টপ বক্সের মাধ্যমে সব গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু করবে।

জাদু ডিজিটাল ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড লিমিটেডের কনজ্যুমার ব্রান্ড। ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড মোহাম্মদী গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, যার চেয়ারমান আনিসুল হক। ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড গত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কেবল টিভি ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ হিসেবে স্টার টিভি নেটওয়ার্ক, বিবিসি, টেন স্পোর্টস, নিও স্পোর্টস, এবিপি, টাইমসসহ ২০টিরও বেশি এক্সক্লুসিভ চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করে আসছে।
জাদু ডিজিটাল বিশ্বের সর্বাধুনিক ও স্টেট অব দ্য আর্ট প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ভিডিও ও ইন্টারনেট সার্ভিস তৈরি করেছে, যা ২৫০টিরও বেশি ডিজিটাল চ্যানেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনোদন নিয়ে আসবে। থাকবে ঝকঝকে ছবি ও ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ডসহ ২৪ ঘণ্টা। এর গ্রাহকরা আরো পাবেন ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও অন ডিমান্ড, ইলেক্টধনিক প্রোগ্রাম গাইড, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও আইপি টেলিফোনির মতো বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস এবং ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সাপোর্ট।

ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ কাভারেজ ও টু-ওয়ে অ্যাড্রেসেবল সিস্টেম সুবিধা পেতে জাদু ডিজিটাল সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টিভি সফটওয়্যার কোম্পানি টিভো’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

Friday, April 22, 2016

গেম খেলার জন্য সেরা ৩টি স্মার্টফোন

একটা সময় ফোন কথা বলার জন্য ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে কিন্তু স্মার্টফোনগুলো শুধুমাত্র কথা বলার জন্য বা যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়না। বরং, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অনেক বড় একটা অংশই বর্তমানে স্মার্টফোনে গেম খেলে থাকেন। স্মার্টফোনে এই গেম খেলার হার এতটাই বেশি যে যদি কোন সার্ভে করা যায় তবে হয়ত গেম খেলার ডিভাইসের তুলনায় কম্পিউটার হেরে যাবে স্মার্টফোনের তুলনায়। যাই হোক, যেহেতু মোবাইল প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে গেম খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছে তাই আজকে আমি বর্তমানের প্রযুক্তি বাজারে থাকা সেরা কিছু গেমিং স্মার্টফোন নিয়ে লেখার চেষ্টা করব। আশা করি যারা গেম খেলাকে মাথায় রেখে বা প্রায়োরিটিত শীর্ষে রেখে পরবর্তি সেরা গেমিং ডিভাইসটি কিনতে চাচ্ছেন তাদের কিছুটা হলেও কাজে আসবে এই লেখাটি। চলুন তাহলে, শুরু করা যাক।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এজ 

বর্তমানে প্রযুক্তি বাজারে যে সকল শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এজ ডিভাইসটি রয়েছে তালিকার শীর্ষে। ডিভাইসটিতে যুক্ত করা হয়েছে সর্বাধুনিক স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর, অড্রিনো ৫৩০ জিপিইউ এবং ৪ গিগাবাইট র‍্যাম। এখনকার সব গেমতো ডিভাইসটিতে হাই গ্রাফিক্স সেটিংসে খেলা যাবেই, বলা চলে ভবিষ্যতের হাই কোয়ালিটি গেমগুলোও ডিভাইসটিতে সহজেই খেলা যাবে।
২০১৬ সালের এই স্যামসাং ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটির মূল্য নিঃসন্দেহে কিছুটা বেশি কিন্তু আপনাকে এই ডিভাইসটি দিতে পারে সর্বোচ্চ স্মার্টফোন গেমিং এক্সপেরিয়েন্স। আগামী দুই বছরের টপ-লেভেল পারফর্মেন্সের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এটি অবশ্যই থাকবে।
Best Phone For Playing Games SAMSUNG Galaxy S7 Edge স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৭ এজ গেম খেলার জন্য সেরা ৩টি স্মার্টফোন
SAMSUNG Galaxy S7 Edge
ডিভাইসটির স্ক্রিনে কোন ব্যাজেল না থাকায় গেমিং এক্সপেরিয়েন্স আরও বৃদ্ধি পাবে খুব সহজেই! সেরা লুকের স্মার্টফোনটিতে সেরা সব কম্পোনেন্ট যুক্ত করার ফলে যদি এই ডিভাইসটিকে ডেডিকেটেড পোর্টেবল গেমিং ডিভাইসের সাথে তুলনা করা হয় তবুও খুব বাড়িয়ে বলা হবেনা আমার মতে।

Best Phone For Playing Games SAMSUNG Galaxy S7 Edge স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৭ এজ গেম খেলার জন্য সেরা ৩টি স্মার্টফোন
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৭ এজ
ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি গেম লঞ্চার ফিচার যা আপাতত অন্য কোন ডিভাইসে পাওয়া যাবেনা। ফিচারটি অনেকটাই গেমিং সেন্টারের মত কাজ করবে যার মাধ্যমে আপনি আপনার গেমগুলোকে স্টোর এবং ক্যাটাগরাইজ করতে পারবেন। এতে আরও রয়েছে ফ্লটিং বাটন অ্যারেজমেন্ট যা গেম টুল নামেও পরিচিত যার সাহায্যে আপনি আপনার গেমপ্লে রেকর্ড করতে পারবেন খুব সহজেই।

এছাড়াও এই ডিভাইসটিতে সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছে ভালকান এপিআই যাকে বর্তমানে মোবাইল গেমিং এর ভবিষ্যৎ হিসেবেই ধরা হচ্ছে।


নেক্সাস ৬পি 

 নেক্সাস ৬পি ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে গতবছরের স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসর এবং অড্রিনো ৪৩০ জিপিইউ। মাল্টি-টাস্ক এবং ল্যাগ ফ্রি গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের জন্য এতে রয়েছে ৩ গিগাবাইট র‍্যাম। শুধু তাই নয়, ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫.৭ ইঞ্চি আকারের একটি অ্যামোলেড স্ক্রিন যা ডিভাইসটিকে করে তুলেছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

Best Phone For Playing Games Huawei Google Nexus 6P Gaming গেম খেলার জন্য সেরা ৩টি স্মার্টফোন হুয়ায়েই গুগল নেক্সাস ৬পি
Google Nexus 6P

বর্তমানে আপনাকে একটি নেক্সাস ৬পি ডিভাইসের জন্য খরচ করতে হবে প্রায় ৪৫০ ডলারের মত যা গ্যালাক্সি এস৭ এজ ডিভাইসটি থেকে প্রায় ৩০০ ডলার কম। তবে কম দেখে ভেবে বসবেন না যে এটি গেমিং ইস্যুতে পিছিয়ে পরবে! ডিভাইসটিকে এপর্যন্ত তৈরি নেক্সাস ডিভাইসগুলোর মধ্যে সবচাইতে সেরা নেক্সাস ডিভাইস বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই ডিভাইসটিও আপনাকে চমৎকার গেমিং এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম।

Best Phone For Playing Games Huawei Google Nexus 6P Gaming গেম খেলার জন্য সেরা ৩টি স্মার্টফোন হুয়ায়েই গুগল নেক্সাস ৬পি
হুয়ায়েই গুগল নেক্সাস ৬পি
হার্ডওয়্যার স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে নেক্সাস ৬পি ডিভাইসটি পিছিয়ে থাকলেও ডিসপ্লের দিক থেকে এটি এস৭ এজ ডিভাইসটি থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকবে। কেননা এতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যামোলেড প্রযুক্তি; আর অ্যামোলেড প্রযুক্তি মানেই হচ্ছে চমৎকার কালার রি-প্রোডাকশন! পাশাপাশি ৬পি ডিভাইসটির ডিসপ্লের আকার এস৭ এজ থেকে কম হবার পরেও পিপিআই বেশি হওয়ায় কিছুটা ক্রিস্প আউটপুট পাওয়া যাবে নেক্সাসের ৬পি ডিভাইসটি থেকে।


এইচটিসি ১০

আপনি যদি স্মার্টফোনে গেম খেলার সময় জোড়াল শব্দ পছন্দ করে থাকেন তবে এই ডিভাইসটি আপনার জন্য হতে পারে একটি আদর্শ ডিভাইস। প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই এর বুমসাউন্ড অডিওর জন্য বেশ প্রশংসা অর্জন করে নিয়েছে এবং এই ফিচারটি নতুন এই ডিভাইসটিতে গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

Best Phone For Playing Games HTC 10 গেম খেলার জন্য সেরা স্মার্টফোন এইচটিসি ১০
HTC 10
যাই হোক, স্পীকার চমৎকার শব্দের মাধ্যমে অন্যরকম আবহ তৈরি করলেও ডিভাইসটির মূল আকর্ষণ কিন্তু এখনও বাকিই আছে! ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ প্রসেসর, অড্রিনো ৫৪০ জিপিইউ এবং ৪ গিগাবাইট র‍্যাম। বুঝতেই পারছেন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এজ এর সাথে সমানে সমানে টক্কর দিতে সক্ষম এইচটিসির এই ডিভাইসটি।
Best Phone For Playing Games HTC 10 গেম খেলার জন্য সেরা স্মার্টফোন এইচটিসি ১০ মডার্ন কম্বাট ৫
এইচটিসি ১০
এই ছিল আমার আজকের সেরা গেমিং স্মার্টফোনের তালিকায়! লিখতে লিখতে খেয়াল হল যে তালিকার সবগুলো ডিভাইসই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস তাই চিন্তা করছি এরপর মিড-রেঞ্জের মধ্যে কিছু সেরা গেমিং ডিভাইস নিয়ে পোস্ট করব ।

Thursday, April 21, 2016

স্লো ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কানেকশন সমস্যার সহজ কিছু সমাধান

কচ্ছপ গতির ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন

ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাব - ইত্যাদি সকল স্মার্ট ডিভাইসের সাথে সাথে যেন ওয়াই-ফাই কানেকশনও আজকাল আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই অতি প্রয়োজনীয় ওয়াই-ফাই সিগন্যালই মাঝে মধ্যে অনেকের কিছুটা ধীর গতির মনে হয়, যেন যেরকম স্পিড পাওয়ার কথা সচরাচর, সেরকমটা পাওয়া যায়না আর এমন হলে সত্যিই খুব বিরক্ত লাগে। সত্যি কথা বলতে অনেক কারণ কাজ করতে পারে ওয়াই-ফাই সিগন্যালের এই ধীর গতির পেছনে। কিন্তু তার মধ্যে  থেকেও সহজ কিছু কারণ যেগুলো আমরা অনেকেই খুব সহজ দেখে খেয়াল করিনা সেই সকল কারণগুলো আজ আপনাদের সামনে সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করব যাতে করে কিছুটা হলেও আমরা এই ধীর গতির সিগন্যাল সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।


১। রাউটারের পজিশন বদলান - অনেকেই রাউটারের প্লেসমেন্ট নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না, কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে সামান্যতম জায়গা বদল করেও আপনি আপনার রাউটারটি থেকে বেশ ভালো পারফর্মেন্স পেতে পারেন। রাউটারের প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ। যেমন -
  • উচ্চতা - রাউটার যত উপরে রাখবেন ঠিক ততটাই রাউটারটি তার রেডিও ওয়েভগুলো সর্বোচ্চভাবে ব্রডকাস্ট করতে সক্ষম হবে! তাই সম্ভব হলে রুমের সবচাইতে উঁচু স্থানে রাউটারটি রাখা উচিৎ। 
  • কনক্রিট এবং মেটাল - কনক্রিট এবং মেটালের মত ম্যাটারিয়ালগুলো ওয়াই-ফাই এর ওয়েভেকে বাঁধা দিয়ে থাকে! তবে শুধু যে এই দুটি ম্যাটারিয়ালই রেডিও ওয়েভকে বাঁধা প্রদান করে তা কিন্তু নয় বরং এই জাতিয় অনেক ম্যাটারিয়ালের তৈরি বস্তুও একই ভাবে সিগন্যালকে বাঁধাগ্রস্ত করতে সক্ষম, যেমন ধরুন - ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সমূহ! তাই রাউটারটি রাখার সময় এমন একটি স্থানে রাখা উচিৎ যেন রাউটারটির আশেপাশে এরকম কোন কিছু না থাকে। 
  • দূরত্ব - রাউটার থেকে আপনি যত দূরে যাবেন আপনার ডিভাইসে উক্ত রাউটারের সিগন্যালটি ততটাই দুর্বল হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন রাউটারটি আপনার রুম বা ফ্ল্যাটের ঠিক মাঝখানে রাখার জন্য যাতে করে সম্পূর্ণ এরিয়াটি রাউটারটি কভার করতে পারে। 

২। ওয়্যারলেস ইন্টারফেরেন্স এবং নয়েজ - আপনি কি জানেন যে আপনার চারপাশে বিভিন্ন রকম ওয়্যারলেস সিগন্যাল রয়েছে? কীভাবে? যেমন ধরুন - ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সমূহ, ওয়াই-ফাই রাউটার সমূহ, স্যাটেলাইট, সেল টাওয়ার এবং আরও ইত্যাদি! এসকল ওয়্যারলেস ইন্টারফেস এবং এদের দ্বারা সৃষ্ট এই নয়েজগুলোও কিন্তু আপনার ওয়াই-ফাই স্পিডকে কিছুটা হলেও কমাতে সম্ভব! বুঝতে পারছেন না?? আচ্ছা, কিছুটা বিস্তারিতই জানা যাক চলুন।


  • মাইক্রোওয়েভ - আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে ইন্টারফেরেন্স সৃষ্টি করতে যে আপনার ঘরে থাকা মাইক্রোওয়েভ ওভেনই যথেষ্ট তা কি আপনার জানা আছে? এই সমস্যাটি আরও বেশি হয়ে থাকে পুরাতন রাউটারগুলোর সাথে। কেননা, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ২.৪৫ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে থাকে যা ২.৪ গিগাহার্জের ওয়াই-ফাই ব্যান্ডের খুবই কাছাকাছি ! বেশীরভাগ মাইক্রোওয়েভ ওভেন এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এর ওয়েভগুলো বাইরে ডিটেক্ট করা না যায় তবে যদি কোন ডিভাইসে ফলটি অথবা নিম্নমানের শিল্ড থাকে তবে সেটি খুব সহজেই আপনার ওয়াই-ফাই সিগন্যালে ইন্টারফেরেন্স তৈরি করতে সম্ভব । 
  • ব্লুটুথ ডিভাইস - ব্লুটুথ প্রযুক্তিও অপারেট হয়ে থাকে ২.৪ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে! বাকীটা বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই? তাই, ব্লুটুথ ডিভাইসগুলোও আপনার ওয়াই-ফাই সিগন্যালকে দুর্বল করে তুলতে পারে। 
  • ক্রিসমাস লাইট - অদ্ভুত হলেও সত্যি যে ক্রিসমাস লাইটগুলো আপনার ওয়াই-ফাই ব্যান্ডে ইন্টার-ফেয়ার করতে সক্ষম, কেননা প্রতিটি লাইটই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে থাকে।
ক্রিসমাস লাইট
Christmas Light
৩। আপনার প্রতিবেশী - আপনার আশে পাশে সবাই নিশ্চয়ই রাউটার ব্যাবহার করে থাকে, তাই না? আর একারণে অনেকগুলো রাউটার প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে থাকার ফলে চ্যানেল ওভারল্যাপের সৃষ্টি হতে পারে। আর এভাবেই প্রতিবেশীদের রাউটারের কারণে আপনার ওয়াই-ফাই ব্যান্ড কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

এছাড়াও এমন যদি কেউ থেকে থাকে আপনার প্রতিবেশীদের মধ্যে যে আপনার ওয়াই-ফাই সেবা কোনভাবে আপনাকে না বলেই উপভোগ করছে তবে আপনার রাউটার সেটিংসের দিকে আপনার লক্ষ্য রাখাটাই শ্রেয় হবে বলে অন্তত আমি মনে করি !

৪। আপনার কম্পিউটারটিতে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন - এরকম হতেই পারে যে আপনি টরেন্টে অনেক কিছু ডাউনলোড কিউইতে রেখে দিয়েছেন এবং আপনার হয়ত খেয়াল নেই আর এভাবেই আপনার ওয়াই-ফাই এর স্পিড কমে যাচ্ছে! এছাড়াও আপনি টাস্ক ম্যানেজার থেকে রানিং থাকা প্রতিটি অ্যাপলিকেশনেও চেক করে দেখতে পারেন যে ব্যাক গ্রাউন্ডে কোন অ্যাপ বা সফটওয়্যার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ টেনে নিচ্ছে কিনা!! 

Sunday, April 17, 2016

অন্যের ফোনের মেসেজ ডিলিট করুন নিজের ফোন থেকে

খুব রোমান্টিক একটা মেসেজ দিলেন প্রেমিকাকে। কিন্তু ভুল করে চলে গেল মায়ের বা বাবার ফোনে। এখন কী করবেন? শুধু মেসেজ কেন, ছবি বা ভিডিও পাঠাতে গিয়েও এমন ভুল হতেই পারে। এখন উপায় কী? এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। তাই অনুভূতিটা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই।

অন্যের ফোনের মেসেজ ডিলিট করুন নিজের ফোন থেকে


অন্যের ফোনের মেসেজ ডিলিট করুন নিজের ফোন থেকে


তবে এখন এ নিয়ে আর চিন্তার কারণ নেই। একটি অ্যাপ এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে পারে। এটি স্মার্টফোনে ইনস্টর করা থাকলে অন্যের ফোনও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নিজের ফোন থেকে পাঠানো মেসেজ, ছবি, অডিও বা ভিডিও ইচ্ছে মতো মুছে দিতে পারবেন।

আরো দেখুনঃ ওয়েব পেইজ সংকলন করতে গুগলে ক্রোমে ‘সেভ টু গুগল’ চালু

স্ট্রিংস নামে এই অ্যাপের সাহায্যে যাকে মেসেজ, ফোটো বা ভিডিও পাঠিয়েছেন, তার মোবাইল থেকে সে সবই ডিলিট করে দিতে পারবেন। এমনকি সে যদি মেসেজ পড়ে ফেলে, ফোটো বা ভিডিও ডাউনলোড করে তারপরও ডিলিট করা যাবে।

শুধু ত-ই নয় স্ট্রিংসের সাহায্যে দু’জন ইউজারের মধ্যে শেয়ার করা হয়েছে এমন সমস্ত ডেটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

যে ৫টি কারণে আপনার ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা উচিত আপনার

বেশিরভাগ মানুষই ক্লাউড স্টোরেজ থেকে খুব বেশি একটা সুবিধা নেন না। অথচ সার্ভিসগুলোতে গ্রাহকদের জন্য অনেক ধরণের সুবিধা থাকে। আর সুবিধা না গ্রহণ করার তালিকায় যদি আপনি থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধাগুলো বলবে।
যে ৫টি কারণে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা উচিত আপনার Why You Use Cloud Storage  5 reasons that you should use cloud storage
Cloud Storage

ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসগুলো এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স থেকে শুরু করে মাইক্রোসফটের ওয়ানড্রাইভসহ অনলাইনে এখন প্রচুর ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব ক্লাউড স্টোরেজে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি স্টোর করে রাখতে পারবেন আপনি।

তবে এটি এতোটা জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ মানুষই ক্লাউড স্টোরেজ থেকে খুব বেশি একটা সুবিধা নেন না। অথচ সার্ভিসগুলোতে গ্রাহকদের জন্য অনেক ধরণের সুবিধা থাকে। আর সুবিধা না গ্রহণ করার তালিকায় যদি আপনি থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধাগুলো বলবে।

১. ফাইলের অস্তিত্বের নিশ্চয়তা ১০০ শতাংশ

আপনি যে ক্লাউড স্টোরেজটিই ব্যবহার করুন না কেন, আপনি একেবারে ঝুট-ঝামেলা ছাড়া নিখাদ কয়েক গিগাবাইটের স্টোরেজ বিনামূল্যে পাবেন। সুতরাং কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সহজেই ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন আপনি। কারণ এটি হারানোর ভয় একদমই নেই।

২. কোন কিছু পরিশোধ করার প্রয়োজন নেই

ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসে পেইড অ্যাকাউন্ট থাকলেও মোটামুটি সবকটিতেই ফ্রি-লেভেল অ্যাকাউন্ট থাকে। এই ফ্রি অ্যকাউন্টে ২-১৫ জিবির মতো ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজ থাকে। সুতরাং কোন ধরণের টাকা ছাড়াই যদি এতোগুলো স্টোরেজ আপনি পান তবে এগুলো ব্যবহার থেকে বঞ্চিত থাকবেন কেন?

৩. যে কোথাও ফাইলগুলো পাওয়া যাবে

ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো গুরুত্বপূর্ণ ফাইগুলো নিয়ে সবখানে আপনাকে বয়ে বেড়ানো লাগবে না। আপনি শুধু ক্লাউড স্টোরেজে লগইন করে ফাইলগুলো পেয়ে যেতে পারবেন। আর তার জন্য আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে।

৪. ঠিক সময়ে সহযোগিতা

বেশিরভাগ ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসই সঠিক সময়ে তথ্য দিয়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আপনি শুধুমাত্র একটি ফাইল আপলোড দিয়েই অন্য ইউজারদের ইনভাইট করতে পারেন। অর্থাৎ, ঐ নির্দিষ্ট ফাইল নিয়ে অন্য ইউজারদের ইনভাইটের মাধ্যমে তাদের সাথে কাজ করতে পারবেন আপনি। ফাইলে কোন ধরণের পরিবর্তন হলে সবার কাছে ঐ পরিবর্তনটি সাথে সাথে চলে যাবে।

৫. অ্যাকসেস কন্ট্রোল সেটিংসহ খুব সহজে ফাইল শেয়ারিং

ক্লাউজ স্টোরেজে আপলোড করা ফাইল যেকোন সময় যত খুশি তত ইউজারের সাথে শেয়ার করতে পারবেন আপনি। তাছাড়া কোন ইউজার কী দেখবে, এডিট করবে বা ডাউনলোড করবে তাও ঠিক করতে পারবেন আপনি।

আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হল বাংলাদেশে

মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক আজ রোববার বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স সেবা চালু করেছে। ফলে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহকরা এখন বিদেশ হতে প্রেরিত রেমিটেন্স সরাসরি তাদের বিকাশ একাউন্টে গ্রহণ করতে পারবেন।
                                                        
MasterCard, Western Union Join bKash To Make Cross-Border Money Transfers Into Mobile Phones A Reality For 22 Million Bangladeshisমাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক আজ রোববার বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স সেবা চালু করেছে। ফলে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহকরা এখন বিদেশ হতে প্রেরিত রেমিটেন্স সরাসরি তাদের বিকাশ একাউন্টে গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স  গ্রহণকারী দেশ। এই নতুন সেবা চালুর ফলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিদেশে বসবাসরত তাদের স্বজনদের পাঠানো রেমিটেন্স গ্রহণ অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হবে। বিকাশ-এর অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে চালু হয়েছে এই নতুন ধরণের রেমিটেন্স সেবা। ২০১১ সালের চালু হওয়া বিকাশ-এর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত যেকোন ব্যক্তি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পাঠানো রেমিটেন্স  বিকাশ-এর গ্রাহকরা এখন তাদের একাউন্টে সরাসরি গ্রহণ করতে পারবেন। ২০০ টিরও বেশি দেশে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ৫০০,০০০ লাখেরও বেশি এজেন্ট লোকেশন ছাড়াও রয়েছে ডট.পড়স ডিজিটাল চ্যানেলস, এবং ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে রেমিটেন্স প্রেরণের সুবিধা। এই ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড তার সেন্ড মানি প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নকে সংযুক্ত করে রিয়েল-টাইম, ব্যাক-এন্ড সল্যুশন প্রদানের মাধ্যমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যা রেমিটেন্স  প্রক্রিয়ার নির্ভরযোগ্যতা কার্যকারিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।   
নতুন রেমিটেন্স সেবাটি গ্রহণ করে বিকাশ-এর নিবন্ধিত গ্রাহকরা প্রায় সব দেশ থেকেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে তাদের বিকাশ একাউন্টে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই রেমিটেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। রেমিটেন্স গ্রহণ প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। এক্ষেত্রে বিকাশ মেন্যুতে যেয়ে রেমিটেন্স ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন নির্বাচিত করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেফারেন্স নাম্বার (এমটিসিএন) প্রবেশ করে, টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে বিকাশ পিন চাপতে হবে। পরবর্তী ধাপে লেনদেনের অনুরোধটি মাস্টারকার্ডের সিকিউরড পেমেন্ট টেকনলজির  মাধ্যমে  সরাসরি বিকাশ একাউন্টে চলে যাবে।

আরো দেখুনঃ ল্যাপটপের বিকল্প "স্যামসাং ট্যাব প্রো এস"

একজন বিকাশ গ্রাহক দিনে একটি একক লেনদেনের সর্বোচ্চ টাকার পরিমাণ হবে ৩৫ হাজার টাকা (প্রায় ৫০০ ডলার)। একজন গ্রাহক দিনে পাঁচবার লেনদেন করতে পারবেন যার সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (প্রায় ১৫০০ ডলার)। মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেন করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্টে সর্বোচ্চ স্থিতি থাকবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিকাশ বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশকে আর্থিক সেবায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। দরিদ্র ও ব্যাংকিং সুবিধা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে একটি নিয়মতান্ত্রিক আর্থিক কাঠামোয় অংশগ্রহণে সুযোগ দিয়ে বিকাশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এই রেমিটেন্স  সেবায় ফরেন রেমিটেন্স রেগুলেশন প্র্যাকটিস অনুসারে ওভারসিজ ফান্ড ফ্লো প্রক্রিয়া করবে  ব্র্যাকব্যাংক।

বিকাশ- এর নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন “নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রথমসারির প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়ে রেমিটেন্স  সেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর ফলে বিকাশ গ্রাহকরা সরাসরি তাদের একাউন্টে বিদেশ থেকে স্বজনদের প্রেরিত অর্থ দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই গ্রহণ করতে পারবেন। এটি দেশে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা বয়ে এনেছে”।

MasterCard, Western Union Join bKash To Make Cross-Border Money Transfers Into Mobile Phones A Reality For 22 Million Bangladeshis


মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশন্সের গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ম্যাথিউ ড্রাইভার বলেন, ‘‘আগামী ২০২০ সাল নাগাদ নতুন ৫০ কোটি মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের যে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটি পূরণের পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। কেবল বাংলাদেশেই নয় বিশ্বজুড়েই মোবাইল ফোনের গ্রাহক ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সাধারন মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের আর্থিক কর্মকান্ডের আওতায় নিয়ে আসার দারুণ এক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিকাশ ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে অর্থ স্থানান্তর এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী এই কার্যক্রম প্রসারের প্রচেষ্টায় জড়িত হতে পারাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশের মাধ্যমে নতুন এই সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের প্রসার ঘটবে বলে আমরা আশা করি।’’
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া-প্যাসিফিক, পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লড ফারাহ বলেন, ‘‘বিকাশ, ব্র্যাকব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের সাথে এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর কার্যক্রমের অংশীদার হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ক্রস-বর্ডার ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম (ঋরহঞবপয ঢ়ষধঃভড়ৎস) প্রযুক্তি, নিয়ন্ত্রণ, কমপ্লায়েন্স ও অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সুবিধার মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যথাসময়ে অর্থ স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেয়ে মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেশি বাড়ছে সেখানে মোবাইল ফোনে ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার সেবা চালুর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম আরও দ্রুত বিকশিত হবে।’’
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হুসেইন বলেন, ‘‘বিকাশ, মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও ব্র্যাক ব্যাংকের এই যৌথ উদ্যোগ বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে। যুগান্তকারী এই সেবা চালুর ফলে দেশের গ্রাহকেরা প্রথমবারের মতো তাঁদের মোবাইল ফোনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে স্বজনদের পাঠানো রেমিটেন্স  গ্রহন করতে পারবেন। তা ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কীভাবে বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আমাদের নতুন এই সেবা। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা সব সময়ই উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের দুর্দান্ত ব্যাংকিং সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন উদ্যোগটির মাধ্যমে বিকাশ, মাস্টারকার্ড ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের সূচনা হলো। এখন আমরা গ্রাহকদের সহজে ও সুলভে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় সেবা দেয়ার আশা করছি। 

Thursday, April 7, 2016

উইন্ডোজ ১০ প্রিভিউ সংস্করণে যুক্ত হলো কর্টানা ক্রস-ডিভাইস ফিচার ।

Windows 10, Cortana,


সম্প্রতি উইন্ডোজ ১০ এর ইনসাইডার প্রিভিউ বাজারে ছেড়েছে মাইক্রোসফট। তবে উইন্ডোজ ১০-এর এই প্রিভিউ সংস্করণে কর্টানা-ভিত্তিক ক্রস ডিভাইস ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। আপনার যদি অ্যান্ড্রয়েড বা উইন্ডোজ ফোন থাকে তবে কর্টানা ফিচারটি আপনাকে ব্যাটারী কখন ফুরিয়ে যাবে তা জানিয়ে দিবে। তাছাড়া হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পেতে এবং ডিভাইস ভেদে নেভিগেশন ডিরেকশনও প্রদান করবে ফিচারটি।
অপারেটিং সিস্টেমটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে ব্যাশ শেল এবং ইউনিভার্সাল স্কাইপ অ্যাপ, ডার্ক এবং লাইক মোডস, উন্নতমানের অ্যাকশন সেন্টার বিদ্যমান। তাছাড়া কোন ধরণের ডক বা মিরাক্যাস্ট অ্যাডাপটার ছাড়াই কন্টিনাম সমর্থণ পাবেন আপনি।

ওভার-ক্লকিং কী? স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের পারফরমেন্স বাড়াতে ওভার-ক্লকিং কেন প্রয়োজন?

যখন আপনি কোন হার্ডওয়্যার বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কিনবেন তখন থেকেই তার মালিক আপনি, কোম্পানি উক্ত ডিভাইসের সেফটির জন্য কোন কোন সতর্কতা দিয়েছে সেটা কোন ব্যাপার না। আপনার সুবিধা মতো আপনি ডিভাইসকে কাস্টমাইজ করতে পারেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বা খেলনা একদিনের বেশি টিকতো না। যা পেতাম তাই খুলে ফেলতাম। শুধু মাত্র টেবিল ঘড়ি ছাড়া বাকি জিনিসগুলো খুলে ফেলার পরেও কয়েকদিন করে ব্যবহার করতে পারতাম। যাহোক, আজকের আলোচনা আমার খেলনা বিষয়ে না বরং স্মার্টফোন বা কম্পিউটার বিষয়ে। পোস্টের শিরোনাম দেখেই হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন আজ কী বলতে যাচ্ছি।

Tuesday, April 5, 2016

ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস ব্যবহার করে অনলাইনে সহজে আয় করুন । পেমেন্ট ১০০% নিশ্চিত ।

আমরা সবাই Facebook, Google Plus, Twitter, YouTube ব্যবহার করি। আজ আমি আপনাদেরকে দেখাব কিভাবে Facebook, Google Plus, Twitter, YouTube ব্যবহার করে  অনলাইনে ইউরো আয় করা যায়। বোঝার সুবিধার্থে আমি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকাল আমাদের সবারই Facebook, Google Plus, Twitter, YouTube এ Account আছে এবং আমরা প্রতি নিয়তই সেগুলো ব্যবহার করে থাকি। আর এই  Social Media সাইটগুলো Facebook, Google Plus, Twitter, YouTube  দ্বারা  Like, Follow, Share এর মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে Money earn করা যায়।

make-money-468x60-2 

প্রথমে একাউন্ট করার জন্য এই লিংক এ ক্লিক করুন। তারপর Create an Account বারে ক্লিক করুন।

এবার আপনার একাউন্টের সাথে Facebook, Google Plus, Twitter Acount যুক্ত করারর জন্য নিচের ছবির গুলো দেখুন এবং নিয়ম মত কাজ করুন।




উপরের ছবিতে চিহ্নিত Facebook একটি অফশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে কিছুক্ষন পর একটি Facebook পেজ আসবে। সেখানে আপনার ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড দিলেই এই সাইটের সাথে আপনার ফেসবুক এড হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে অন্যান্য গুলো। আপনি যখন Faccbook, Twitter, Google plus Account যুক্ত করবেন অনেক Credits পাবেন এবং প্রতিটি Credits: 4.00 করে হবে।



এখন Facebook Credits গুলো ক্লিক করলে একটি faccbook page আসবে, সেখানে Like, Follow তে ক্লিক করে Credits earn করতে হবে। Page complete হলে update এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনার একাউন্ট এ  Credits/ Cash show করবে। অনুরূপভাবে আপনি Google Plus, Twitter একাউন্ট যুক্ত করে নিয়ে বেশি Credits earn করতে পারবেন। যখন আপনার একাউন্টে 3000 Credits=15 EUR হবে তখন আপনি Alert Pay or Paypol or Payza এর মাধ্যমে Cash out করতে পারবেন।

১৭০০০ মার্কিন ডলারের ও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসরযুক্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সোলারিন স্মার্টফোনটিতে ওয়াই-ফাই সংযোগসহ আছে ২৩.৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা।...

 

© 2017 TECHDVICE. All rights resevered.

Back To Top