Showing posts with label নিউজ. Show all posts
Showing posts with label নিউজ. Show all posts

Sunday, April 2, 2017

গ্যালাক্সি এস৮ ফোন এর ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারে ত্রুটি

দক্ষিণ কোরিয়ার এবং বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গত ২৯ মার্চ তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৮ এবং এস৮ প্লাস উন্মুক্ত করেছে। আর উন্মুক্তের পর পরই ফেসবুক, ইউটিউবে এ নিয়ে তৈরী হয়েছে বিভিন্নরকম আলোচনা । ইউটিউবে আইডিভাইসহেল্প নামে একটি চ্যানেল একটি ভিডিও পোস্ট করেছে যেখানে দেখানো হয়েছে, ফোনের ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচারটির ফোন ব্যবহারকারীদের ফটো দিয়ে বোকা বানানো সম্ভব।
samsung galaxy s8 galaxy s8 samsung security facial recognition can be bypassed

ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যবহারকারী শুধুমাত্র আরেকটি স্মার্টফোন নিয়ে ব্যবহারকারী নিজের একটি ছবি এস৮ ফোনের সামনে ধরেছে । আর এতেই ডিভাইসটিকে বোকা বনে যায়। অন্য ফোনে ব্যবহারকারীর ছবি দেখে ফোনটি আনলক হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি নিরাপত্তার বিষয়টিকে জোর দিয়ে ফেসিয়াল রিকগনিশনের সাথে আইরিশ স্ক্যানার ও যুক্ত করেছে এই ডিভাইসে। তবে ভিডিওটি প্রতিষ্ঠানটিকে ভুল প্রমাণিত করতে পারে।

স্যামসাং নোট ৭ বিস্ফোরণের ঘটনার পর আরও উন্নত নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিয়ে এস৮ ফোনটি উন্মুক্ত করেছে। আর বাকিটা আগামী ২১ এপ্রিল গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর পর বোঝা যাবে।

Thursday, July 21, 2016

নকিয়া অ্যানড্রয়েড ফোনের তথ্য ফাঁস - আসছে ২ কে স্ক্রিন, স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ ও পানিরোধী সনদ নিয়ে

Nokia’s next Android flagship smartphones could be powered by Snapdragon 820 and will be waterproof
দু’টি নকিয়া অ্যানড্রয়েড ফোনের তথ্য ফাঁস - আসছে ২ কে স্ক্রিন, স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ ও পানিরোধী সনদ নিয়ে
সর্বশেষ ফাঁস হওয়া ছবি বলছে যে, নতুন যে ২টি নকিয়া-ব্যান্ডের ডিভাইস তৈরি হচ্ছে তার আকার হবে ৫.২ ইঞ্চি ও ৫.৫ ইঞ্চি। দু’টি ফোনেই থাকবে ধাতব বডি ও তার সাথে মানানসই নকশা। সেখানের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘নকিয়া অনুভব করছে’ যে সবাই তাদের ফোনের জন্যে উদগ্রীব হয়ে আছে। যাহোক, দু’টি ফোনেই শক্তি যোগাবে স্ন্যাপড্রাগন ৮২০ চিপসেট ও সেগুলি হবে আইপি৬৮ সনদ প্রাপ্ত অর্থাৎ ফোন দুটি হবে গ্যালাক্সি এস৭, এস৭ অ্যাকটিভ ও এস ৭ এজ এর মতো ধূলা ও পানিরোধী। এগুলিকে ৩০ মিনিট ধরে ৩ ফিট পানির নিচে রেখে দিলেও ফোনের কোন ক্ষতি হবে না।

ফোন দুটির আকার যে ৫.২ ইঞ্চি ও ৫.৫ ইঞ্চি হবে সে সম্পর্কে দুটি ভিন্ন উৎস হতে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই দুটি উৎস হলো নকিয়া পাওয়া ইউজার (এনপিইউ) এবং গিজমোচায়না। অবশ্য শেষের উৎসটি আরো বলেছে যে, দুটি ফোনের স্ক্রিনই হবে ২ কে রেজ্যুলুশনযুক্ত। প্রথম সূত্র বলছে, ‘যদিও ডিসপ্লে রেজ্যুলুশন কতো হবে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হইনি তারপরেও আশা করি যে, উভয় ফোনে একটি কিউএইচডি রেজ্যুলুশন য্ক্তু ওএলইডি ডিসপ্লে থাকবে।

ক্যামেরার বিষয় বলতে গেলে বড় ফোনটিতে থাকবে ২২.৬ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা। এনপিইউ দাবী করে যে, দুটি ফোনের ক্যামেরাতে লাগানো সেন্সর ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর হবে এবং তাতে নকিয়ার ক্রমাগত গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা সেন্সর লাগানো হবে।’

গিজমোচায়না’র তথ্য অনুসারে দু’টো নকিয়া হ্যান্ডসেটই চীনে অবমুক্ত করা হবে। বড় ফোনটি সেখানে বিক্রি করা হবে ৫০০ ডলার মূল্যে। আশা করা হচ্ছে যে, নকিয়ার দুটো স্মার্টফোনই ২০১৬ এর শেষ ভাবে অবমুক্ত করা হবে, অবশ্য অবমুক্তির সময় ২০১৭ তে গিয়েও পড়তে পারে।

Monday, June 6, 2016

অ্যান্ড্রয়েড এর নতুন সংস্করণে দূর থেকেই অচল করে দেয়া যাবে চুরি হয়ে যাওয়া আপনার ফোন

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে নতুন এক ফিচার যোগ করা হয়েছে । আর তা হচ্ছে যখন্ন আপনার পছন্দের অ্যান্ডয়েড ফোনটি হারিয়ে যাবে অথবা চুরি হয়ে যাবে তখন আপনি দূর থেকেই বুট সিস্টেম এর মাধ্যমে আপনার ফোনটিকে ডিজেবল করতে পারবেন ।
চুরি হয়ে যাওয়া ফোনটিকে অচল করে দিন এক নিমিষেই

ইন্টারনেটেরে মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটিকে ট্র্যাক করতে পারবেন এবং ডিভাইজটি ব্রিক করে দিতে পারবেন । গুগল রিকভারি মোড ডিভাইস ব্রিকের অ্যাক্সেস দিয়ে থাকে । ফিচারে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার হতে নিরাপদে সব পার্টিশনগুলো মুছে ফেলা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ওইএম ম্যানুফেকচার দরকার হবে। ওইএম দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন করা হয় যাতে করে পার্টিশনে এক্সেস করা যায়।

আরো দেখুনঃ নিয়ে নিন আপনার Android এর জন্য Computer App এবং আপনার ফোনে Computer চালানোর মজা নিন। [Don’t Miss]

এই ফিচারে দূর থেকে সব পার্টিশন মুছে ফেললে ডিভাইসটি পুনরায় বুট করতে অস্বীকার জানাবে।

আর নতুন এই ফিচার ব্যবহারকারিকে তাদের নিজের ডিভাইসকে অকার্যকর করার ক্ষমতা দেয়। গুগল জানিয়েছে, নতুন এই ফিচার অ্যান্ড্রয়েড এর নতুন সংস্করণ 'এন' এ থাকবে।

প্রসঙ্গত ফোনটি ফেরত পেলে ব্যবহারকারি কি পুনরায় ডিভাইসটি কার্যকর করার কোন পদ্ধতি পাবে কিনা সে বিষয়ে গুগল পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। তবে, বর্তমানে  ব্যবহারকারীদের জানা উচিত যে এই শেষ উপায় অবলম্বন করলে ডিভাইস অপুনরুদ্ধারযোগ্য। 

Wednesday, June 1, 2016

১৭০০০ মার্কিন ডলারের ও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসরযুক্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সোলারিন স্মার্টফোনটিতে ওয়াই-ফাই সংযোগসহ আছে ২৩.৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা। স্মার্টফোনটিতে আছে ৫.৫ ইঞ্চি আইপিএস এলইডি ২কে রেজ্যুলেশনের স্ক্রিন।
Sirin Labs New Smarphone Solarin world most expensive android smarphone

ইসরায়েল স্টার্টআপ সিরিন ল্যাবস উন্মোচন করল বিশ্বের সবচেয়ে দামী অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন। স্মার্টআপটি অবশেষে অফিশিয়ালি ১৭০০০ মার্কিন ডলার মূ্ল্যের হাই-ইন্ড অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন জনসম্মুখে উন্মোচন করল। স্মার্টফোনটি চিপ-টু-চিপ ২৫৬-বিট এনক্রিপশনের সক্ষমতা রাখে বলে জানিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এরকম স্মার্টফোন সেনাবাহিনীরা যোগাযোগ রক্ষার্থে ব্যবহার করে থাকেন।


‘রোলস রয়েস অব স্মার্টফোনস’ উপাধিতে ভূষিত সোলারিন নামের ডিভাইসটি পিছনে থাকা নিরাপত্তা সুইচের মাধ্যমে সক্রিয় হয়। সংবাদমাধ্যম ভেঞ্চারবিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোনটি মঙ্গলবার লন্ডনে উন্মোচিত হয়।

১৭০০০ মার্কিন ডলার মুল্যের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন

সোলারিনে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অ্যাডভান্সড প্রাইভেসি প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। কমিউনিকেশন সিকিউরিটি ফার্ম কুলস্পানের সাথে একযোগে কাজের মাধ্যমে এ ধরণের একটি স্মার্টফোন তৈরি করতে সক্ষম হয়ছে সোলারিন। 

সতের হাজার মার্কিন ডলার মুল্যের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন সাথে মিলিটারি গ্রেড সিকিউরিটি

সিরিন ল্যাবস জানায়, ‘উচ্চতর প্রাইভেসি সেটিং, অন্যান্য ফোনের থেকে দ্রুত পরিচালনে সক্ষম, বিশ্বের সেরা উপকরণ দ্বারা তৈরি একটি সেরা অ্যাডভান্সড মোবাইল ডিভাইস তৈরি করতে চেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।’ ধনাঢ্য এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিদের জন্য ১ জুন থেকে লন্ডনে এবং ৩০ জুন থেকে নাইটসব্রিজের সিরিন ল্যাবসের রিটেইল স্টোরে ফোনগুলো বিক্রি শুরু হবে। তবে বিলাসবহুল ফোন তৈরি এটাই প্রথম নয়। ২০০৬ সালে নোকিয়া ৩১০,০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের ‘সিগনেচার কোবরা’ এবং ২০১১ সালে ৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ‘কনস্টেলাশন’ বাজারে ছেড়েছিল।

সূত্র: সিএনএন





Monday, May 23, 2016

অ্যাপেলের আসন্ন আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস উভয়েই থাকবে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা ?

আইফোনে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা
অ্যাপেলের আসন্ন আইফোনে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা

অ্যাপেলের আসন্ন আইফোন সব সময়ই আলোচনার শীর্ষে থাকে। সে কারণেই এরই মধ্যে আমরা অ্যাপেলের পরবর্তী আইফোন সম্পর্কে অনেক ধরণের তথ্য জানতে পেরেছি। অবশ্য সে সব তথ্যের সবটুকুই আমরা পেয়েছি গুজব থেকে। আগামীতে অ্যাপেল আমাদের দিচ্ছে আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস । আইফোন ৭ প্লাসকে আইফোন ৭ প্রো নামেও ডাকা হতে পারে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে তা থেকে আশা করা যায় ফোন দুটি দেখতে আইফোন ৬ এর চেয়ে খুব বেশি ভিন্ন কিছু না হলেও হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ক্যামেরার গুনগত দিক থেকে সেগুলি আগের ফোন দুটির চেয়ে অনেক বেশি উন্নততর হবে।

--> এতোদিন পর্যন্ত শোনা বেশির ভাগ গুজব বলছে, আইফোন ৭ প্লাসে থাকবে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত (ওআইএস)ডুয়াল ক্যামেরা। অন্য দিকে আইফোন ৭ এর ক্যামেরাতে ওআইএস থাকবে না। কিন্তু নম্যুরা সিকিউসিরিটিজ এর বিশ্লেষক ক্রিস চ্যাং আশা করছেন অ্যাপেলের আসন্ন দুটি ফোনেই থাকবে ওআইএস যুক্ত ক্যামেরা। 

আরো দেখুনঃ ২০১৭ সালে আসছে গুগলের পরিবর্তনযোগ্য হার্ডওয়্যারের স্মার্টফোন ।

বর্তমানে অ্যাপেলের শুধুমাত্র আইফোন ৬ প্লাস ও আইফোন ৬ এস প্লাসে ওআইএসযুক্ত ক্যামেরা দেয়া আছে। সে কারণে আইফোন ৭ ই হতে পারে অ্যাপেলের ৪.৭ ইঞ্চি আকারের ফোন যাতে প্রথমবারের মতো ওআইএস ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই সেটগুলি অল্প আলোতে উচ্চ মান সম্পন্ন ছবি তুলতে ও ভিওিড ধারণে সক্ষম হবে। 

নম্যুরা সিকিউরিটিজ আরো জানিয়েছে যে, এতোদিন অ্যাপেলের একমাত্র সনি’র সাথে আইফোন ৭ এর জন্যে ক্যামেরা মডিউল সরবরাহের বিষয়ে প্রাথমিক চুক্তি ছিল। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে সনি’র পক্ষে এতো বেশি যন্ত্রাংশ সরবারাহ করা হয়তো সম্ভব হবে না। সে কারণে অ্যাপেল তাদের পরবর্তী ফোন দুটির জন্যে এলজি ইনোটেকের কাছ থেকেও ক্যামেরা নিতে পারে । আশা করা যায় এ রকম একটি সিদ্ধান্তে আইফোনের গ্রাহকেরা ভালো ক্যামেরা যুক্ত ফোন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না। 

যাহোক, বিগত বছরগুলির মতো এবারও অ্যাপেল আগামী সেপ্টেম্বরে তাদের আসন্ন আইফোনের ঘোষণা দেবে বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন।

Sunday, May 22, 2016

২০১৭ সালে আসছে গুগলের পরিবর্তনযোগ্য হার্ডওয়্যারের স্মার্টফোন ।

মডিউলার ফোন ধারণাটি মোবাইল শিল্পের জন্য একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন বলা যায়। আর সার্চ জায়ান্ট গুগল তাদের বার্ষিক ডেভলপার সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছে, পরিকল্পনার সবকিছু ঠিকমতো থাকলে গ্রাহকরা ২০১৭ সাল নাগাদ তাদের 'প্রোজেক্ট অ্যারা' স্মার্টফোনটি তাদের হাতে পাবে।

আরো দেখুনঃ অনুমোদন পেল এমএনপি: কার্যকর সেপ্টেম্বরে

google project ara 2015 smartphones will go modularমডিউলার স্মার্টফোন হল পরিবর্তনযোগ্য হার্ডওয়্যারের স্মার্টফোন। যেখানে ব্যবহারকারি তার প্রয়োজন অনুযায়ী স্মার্টফোনের কনফিগারেশন করে নিতে পারবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, যদি কোন ব্যবহারকারি মোবাইল ফটোগ্রাফি করতে চান তাহলে তিনি অনেক বেশি মেগাপিক্সেল ও অধিক সেন্সরের ক্যামেরা মডিউল যোগ করে নিতে পারবেন। এই ফোনে ব্যবহারকারিরা ফোনের ইচ্ছে মতো যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে পারবে। 'প্রোজেক্ট অ্যারা'তে তৈরি স্মার্টফোনগুলোতে থাকবে পরিবর্তনযোগ্য ছয়টি মডিউল।

৫.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লের এবং অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণের এই ফোনটি  চলতি বছর ডেভেলপারদের হাতে আসবে। আর গ্রাহকরা পাবেন ২০১৭ সাল নাগাদ।

সম্মেলনে এই স্মার্টফোনের ঘোষণার সাথে গুগল এর প্রচারনার জন্য নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

টিম কুকের ভারত সফরের রহস্য কি ?

গত বুধবার মধ্যরাতে বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক ভারত সফরে আসেন। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও নানা শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক করেন।

আইফোনের ১৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপি আইফোনের বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি একই প্রান্তিকে ভারতে বিক্রি বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। আর এমনবস্থায় অ্যাপল প্রধান নির্বাহী প্রথম ভারত সফরে আসলেন। এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের কোন সিইও ভারতে আসেনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে।

অ্যাপল এর সিইও টিম কুক এবং নারেন্দ্র মোদি
Tim Cook and Narendra Modi

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির এই প্রতিষ্ঠান ভারতে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ ফোরজি সেবা নিয়ে আসবে যা কিনা মোবাইল ইন্টারনেট কে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এধরনের হাই-এন্ড নেটওয়ার্ক আইফোনের জন্য এক সুখবর। এবার দেখে নেয়া যাক সফরের উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ-

চায়না ভার্সাস ভারত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার চীন। কিন্তু এই চীনে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি কমে যাওয়ায় অ্যাপলের অ্যাপলের আয় অনেকটা নিচে নেমে আসে। অন্যদিকে ভারত মোবাইল মার্কেটের দিক থেকে দ্রুত বর্ধনশীল অবস্থায় আছে। যদিও এখানে ৫০০০ রুপির মধ্যের মোবাইল সেট গুলোর চাহিদা বেশি। আর আইফোনের সম্প্রতি মডেলের শুরুর দামই ৩৯,০০০ রুপি। তবুও অ্যাপলের জন্য ভারতের বাজার ভাগ্য ফেরাতে সহায়তা করতে পারে।

ভারতে আইফোন তৈরি

অ্যাপল তাদের আইফোন তৈরি করেনা। তাইওয়ান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফক্সকন চীনে আইফোন নির্মাণ করে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি ফক্সকন ঘোষণা দিয়েছে তারা মহারাষ্ট্রে অ্যাপল ডিভাইস তৈরির জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের প্ল্যান্ট সেটআপ করবে। ফলে কম শুল্কে স্থানীয় উৎপাদনের কারণে আইফোনের দাম কম হতে পারে ভবিষ্যতে। এছাড়াও অ্যাপল প্রধান হায়দ্রাবাদে তাদের প্রথম ডেভলপমেন্ট সেন্টার এবং ব্যাঙ্গালুরুতে 'ডিজাইন এন্ড ডেভলপমেন্ট এক্সিলারেটর' খোলার ঘোষণা দেন। যেখানে উদ্যোক্তারা অ্যাপলের জন্য নানা অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করবে।

আরো দেখুনঃ গুগল আইওতে বাংলাদেশের চারজন

অ্যাপল পন্যের দামে সমস্যা

ভারতে মোবাইল বাজারকে প্রাইস সেনসেটিভ মার্কেট বলা হয়। আর অ্যাপলের আইফোন বরাবরই ব্যয়বহুল। বেশিরভাগ ফোনই ৩০,০০০ রুপির বেশি। আর সিএমআর এর দেয়া তথ্যমতে, ভারতে মোট মোবাইল ফোন বিক্রির ৩.৪ শতাংশ অ্যাপলের। পুরনো মডেলের আইফোন দামে সস্তা কিন্তু এগুলোর বিক্রি খুবই কম। আর ভারতীয় ক্রেতারা যদিও মূল্য সচেতন তবুও তারা ৫সি এর মতো পুরনো মডেলের আইফোন কিনতে আগ্রহী নয়। আর তাই অ্যাপলের জন্য বড় সমস্যা, নতুন মডেল ব্যয়বহুল এবং কম দামের পুরনো মডেলে আগ্রহ নেই ভারতীয় ক্রেতাদের।

রিফারবিশড ফোন

রিফারবিশড ফোন বা পরিমার্জিত ফোন যেগুলো অ্যাপল অন্য বাজারে বিক্রি করে থাকে সেগুলোকে বলা হয় "pre-owned and certified"। এগুলো চলতি মডেলের ফোন, প্রায়ই গ্রাহক ফেরত দিয়ে থাকে। এই ফেরত দেয়া ফোনগুলো আবারও ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয় পরীক্ষা করে সার্টিফাইড করার জন্য। এবং এই ফোনকে নতুন আইএমইআই নাম্বার দেয়া হয় এবং সাথে নতুন করে ওয়ারেন্টি। বিশ্লেষকরা বলছে, ক্রেতারা কম দামে ওই ফোনগুলি কিনতে আগ্রহী। আর চলতি মডেলের রিফারবিশড ফোন অ্যাপলের শেয়ার বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে বিপত্তি বাধে ভারত সরকার ই বর্জের দোহাই দিয়ে রিফারবিশড আইফোন ভারতের বাজারে বিক্রির অনুমতি দিচ্ছেনা। তাই বলা হচ্ছে টিম কুকের ভারত সফরের এটি একটি অন্যতম কারণ।

সুত্রঃ বিবিসি/BBC

অনুমোদন পেল এমএনপি: কার্যকর সেপ্টেম্বরে

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এদিকে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার তাঁর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এমএনপি সেবা চালু হচ্ছে ।
সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে চালু হচ্ছে এমএনপি
MNP
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা বা মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএনপি লাইসেন্স দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারবে। বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার জানিয়েছেন, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী এমএনপির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। এখন এটি বিটিআরসিতে পাঠানো হবে। তারা এরপর বিটিআরসি এমএনপি সেবার কাজ দিতে নিলামের প্রস্তুতি নেবে। এদিকে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার তাঁর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এমএনপি সেবা চালু হচ্ছে। মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের পরিষেবা স্বচ্ছ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এরপর তা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশোধিত খসড়া নীতিমালার কোন পরিবর্তন ছাড়াই অনুমোদন করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

অপারেটর পরিবর্তনের এই বিধান বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে। নতুন এই নীতিমালায় কোন গ্রাহক ইচ্ছে করলেই তার মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে তার পছন্দমতো অপারেটরে যেতে পারবেন। আবার প্রয়োজনে আগের অপারেটরে ফিরেও আসতে পারবেন। এজন্য তাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই সুবিধা দিতে অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই অনুমোদন করেছে। একবার এমএনপি সুবিধা নেয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোন অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে।

আরো দেখুনঃ মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের এই নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমএনপি পরিচালনার অভিজ্ঞতা, টেকনিক্যাল ও সিস্টেম ডিজাইনের অভিজ্ঞতা, গ্লোবাল ফুট প্রিন্ট, টেকনিক্যাল ক্যাপাসিটি, ফিনানশিয়াল এ্যানালাইসিস, রোল আউট ম্যানেজমেন্ট, রিস্ক ম্যানেজমেন্টসহ ৯টি মানদণ্ডে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে আগ্রহী দরদাতাদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর আগ্রহীদের আবেদনের সঙ্গে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন কমিটি যোগ্যতা নিরূপণ করে নম্বর দেবে। এরপর যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি। সেই যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়েই নিলামের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে আগে কোন নীতিমালা না থাকায় কোন অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলে অন্য কোন অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ কোন গ্রাহকের ছিল না। এই সেবা চালু হওয়ার পরই যে কেউ নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। গত বছর ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তার আগে বিটিআরসি গ্রাহকদের অপারেটর বদলানোর সুযোগ করে দিতে প্রস্তাবনা তৈরি করে। এরপর তা গত বছর অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠালে মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তারের অনুমতি প্রদান করে। পরে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালের জুনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। তখন বিটিআরসি এই নির্দেশ অপারেটরদের দিলেও গাইড লাইন না থাকায় অপারেটররা সঠিক সময়ে এই সেবা চালু করতে পারেনি। এরপর বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে এমএনপি চালু করতে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে দেয়া হয়। সরকারের কাছে অনুমোদিত হয়ে এলে এটার টেন্ডার এবং লাইসেন্স হবে। যে লাইসেন্স পাবে সে এটাকে অপারেট করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। ওই বছরের অপারেটরদের এমএনপি সুবিধা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে দেয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। ৭ মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে হবে।

তবে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজের লাইসেন্স দেয়ার নিলাম পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় যোগ্যতার নতুন শর্ত যোগ করার উদ্যোগ নেয় টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় খসড়া সংশোধন করে কয়েকটি বিষয় নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত করে বিটিআরসির লিগ্যাল এ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগ। নিলাম প্রক্রিয়ায় আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা মূল্যায়ন করতে আগে নীতমালায় সুনির্দিষ্ট কোন মানদণ্ডের উল্লেখ ছিল না। সংশোধনের পর সেখানে ৯টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়নের কথা বলা হয়।

নতুন সংশোধনীর পর যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়, তাতে বিড আর্নেস্ট মানি পাঁচ লাখের বদলে ১০ লাখ টাকা, বেইজ প্রাইস ৫০ লাখের জায়গায় এক কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স নবায়ন ফি ১০ লাখের বদলে ২০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়। এছাড়া নীতিমালায় এমএনপি সংশ্লিষ্ট ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভিএএস) দেওয়ার সুযোগ, এক শতাংশ ক্যাপাসিটি নিয়ে কার্যক্রম (রোলআউট অবলিগেশন) শুরুর বিধান রাখা হয়েছে। ‘রোলআউট অবলিগেশন’ পূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে নিলামে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে এই নীতিমালায়। খসড়ায় বলা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও এ নিলামে অংশ নিতে পারবে। তবে তাদের বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হবে ৫১ শতাংশ এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ। নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে ১৫ বছরের জন্য এবং এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে।

এদিকে বুধবার তারানা হালিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এ বছরের সেপ্টেম্বরে এই সেবাটি চালু হতে যাচ্ছে। এমএনপি সেবা চালু হলে বাংলাদেশের যে কোনো মোবাইল গ্রাহক তার নম্বর ঠিক রেখেই অন্য কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন। তিনি লিখেছেন, আমি আনন্দিত, আসছে এমএনপি সার্ভিস। প্রধানমন্ত্রী এমএনপি গাইডলাইনে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং আপনাদের আকাঙ্ক্ষিত এমএনপি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে এ বছরের মধ্যেই। ‘এই সেবা চালু হলে বাংলাদেশের যে কোনো মোবাইল গ্রাহক তার নাম্বারটি ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্কে সুইচ করতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি যদি এখন ০১৭ কোডের গ্রামীণফোনের গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে ওই একই ০১৭ রেখেই আপনি অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য যে কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্ক পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন।’

আরো দেখুনঃ স্লো ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কানেকশন সমস্যার সহজ কিছু সমাধান

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই এমএনপি নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাইডলাইনে বেশ কিছু পরিবর্তনের কারণে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় এক মাস দেরি হয়েছে বলে জানান তারানা হালিম। ‘আশার কথা হলো এ বছরের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে এমএনপি সার্ভিস।’ তারানা হালিম লিখেছেন, আমি প্রতিটা কাজের জন্য সর্বদা যে ডেডলাইন ঠিক করেছি, সেই ডেডলাইনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি। ‘এরই ধারাবাহিকতায় এমএনপি লাইসেন্সের নিলাম প্রক্রিয়াও দুই তিন মাসের মধ্যে শুরু করা এবং এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই এই সার্ভিস শুরু করা আমার অগ্রাধিকারমূলক কাজ সমূহের মধ্যে একটি।’

প্রসঙ্গত, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে।একবার এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে। অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যেতে পারবে।

Tuesday, May 3, 2016

গুগল আইওতে বাংলাদেশের চারজন

গুগল আইও হলো গুগলের বার্ষিক প্রযুক্তি সম্মেলন। কিন্তু গুগলের আধিপত্যের দাপটে এটি অলিখিত ভাবে এখন পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত প্রযুক্তি সম্মেলন হিসেবে পরিচিত। আগামী ১৮ থেকে ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ে এ বছরের আইও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আইওর এবারকার আয়োজন দশম বারের মতো। দশম বছরে আইওর আয়োজন স্যানফ্রান্সিসকো থেকে ফিরে যাচ্ছে গুগলের আতুড়ঘর গুগলপ্লেক্স সংলগ্ন শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে। গুগল বলছে এবারকার আইও হবে আয়োজনের বিবেচনায় সবচেয়ে বড়। এতে অংশ নিচ্ছে গুগল প্ল্যাটফরমে কাজ করা সারা বিশ্বের শীর্ষ ডেভেলপাররা ছাড়াও গুগলের ব্যবসায়ীক অংশীদার ও বিপনন সহযোগী মিলিয়ে দেড়শর বেশি দেশের পাঁচ হাজার অংশগ্রহনকারী। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাচ্ছেন চার তরুণ। তারা সবাই্ গুগল ডেভেলপার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত।

গুগল আইওতে বাংলাদেশের চারজন
4 Bangladeshis are in Google IO
গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) বাংলার কমিউনিটি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান পিয়াস এবার গুগল আইওতে অংশ নিচ্ছেন টানা দ্বিতীয় বারের মতো। তিনি বলেন, গুগল আইওর মতো সম্মেলনে অংশ নেওয়া স্বপ্নের মতো ব্যাপার। সারা পৃথিবীর প্রযুক্তিপ্রেমী লাখো মানুষ মুখিয়ে থাকেন আইওর জন্য। এই সম্মেলন থেকেই মূলত গুগলের পরবর্তী প্রযুক্তি আর চমকের ঘোষণা আসে। যা সারা বিশ্বের প্রযুক্তি ও বিপণন পেশাজীবীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিন দিনের এই সম্মেলনে গুগলের প্রযুক্তি ও বিপণন কৌশলের নানান বিষয়ে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন থাকবে। শুরু হবে গুগল সিইও সুন্দর পিচাইয়ের কি নোটের মাধ্যমে। ১৮ মে ক্যালিফোর্নিয়া সময় সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কিনোট সরাসরি দেখা যাবে অনলাইনে।
জাবেদ সুলতান পিয়াস আরও বলেন, একজন ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন পেশাজীবী হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের  সর্বশেষ কৌশলগত বিষয়গুলো নিয়েই আমার আগ্রহ বেশি। তবে প্রযুক্তি বিশেষ করে গুগলের প্রযুক্তিগত সুবিধা ছাড়া আধুনিক ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন বা বিপণন এখন অসম্পূর্ণ। আমার আগ্রহ বিশেষ করে গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং টেকনিক নিয়ে।

জাবেদ সুলতান পিয়াস আইও এর আগে এক দিনের জিডিজি গ্লোবাল সামিটে অংশ নেবেন। এটি অনুষ্ঠিত হবে স্যানফ্রান্সিসকোর প্যালেন হোটেলে। এতে সারা পৃথিবীর জিডিজি লিডাররা অংশ নেবেন। অংশ নেবে একশর বেশি দেশের পাঁচ শতাধিক কমিউনিটি লিডার। গত বছর জিডিজি সামিটে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। গুগল অনুবাদে মাতৃভাষার জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে নজির সৃষ্টি করার জন্যই এ প্রশংসা পায় বাংলাদেশ। ইন্টারনেটে নিজের ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশের এই উদাহরণ থেকে সারা পৃথিবীর শেখার আছে বলে জানান গুগল ট্রান্সলেট কমিউনিটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্ভিটা কালম্যান।

গুগল অনুবাদে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশে গুগল ডেভেলপারস গ্রুপ বা জিডিজি বাংলার উদ্যোগে গত বছরের ২৬ মার্চ আয়োজিত ‘বাংলার জন্য চার লাখ’ কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয় সম্মেলনের প্রথম আলোচনায়। সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ওইদিন বাংলার জন্য অনুবাদের সংখ্যা ছিল সাত লাখের বেশি। এ বছর গুগল আইওতে জাবেদ সুলতান পিয়াস ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের আরও তিন জন। তারা হচ্ছেন জিডিজি ঢাকার ব্যবস্থাপক মাহবুব হাসান, ওম্যান টেকমেকার রাখসান্দা রুখহাম ও জিডিজি সোনারগাওয়ের ইশতিয়াক রেজা।


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেলিকমিউনিকেশনে স্নাতন ডিগ্রি অর্জন করা রাকসান্দা প্রযুক্তিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করেন। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসইর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান গুগলের ম্যাপ ডেভেলপমেন্টে কাজ করছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে (সিএসই) স্নাতক সম্পন্ন করে ইশতিয়াক রেজা এমসিসি লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবি থেকে টেকনোলজি অ্যান্ড অপারশেনস্‌এ এমবিএ করার আগে জাবেদ সুলতান পিয়াস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে আরেকবার এমবিএ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে মার্কেটিংয়ে বিবিএ করেছেন। তিনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও বাংলা কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছেন। 

Friday, April 29, 2016

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিল ফেসবুক

বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধে প্রথমবারের মতো সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। গত বছরের শেষ ছয় মাসের তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুক প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ উল্লেখ করা হয় এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৪টি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে, যেসব দেশে ফেসবুকের অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল নেই, সেসব দেশের সরকার কোনো ব্যক্তির তথ্য চেয়ে পাঠালেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেয় না। তবে অনুরোধের বিপরীতে যথার্থ কারণ খুঁজে পেলে সংশ্লিষ্ট আইডি ব্লক করে বা ক্ষতিকর পোস্ট সরিয়ে ফেলে ফেসবুক।


আর যেসব দেশে অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল রয়েছে বা নিদেনপক্ষে কোন ধরনের সমঝোতা চুক্তি আছে, সেসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি বা আইডি আন্তর্জাতিক শান্তি বিনষ্টের জন্য কাজ করছে কি না। এছাড়া কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ বা সংঘর্ষের সাথে তার যোগসাজশ পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির তথ্য ফেসবুক সরকারকে সরবরাহ করে থাকে এবং সে দেশের সরকারের চাওয়া-অনুরোধকেও গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট আইডির আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) নম্বর যদি ওই দেশের হয়ে থাকে, তাহলে ফেসবুক সেগুলো বন্ধ করতে পারে বা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে। কাঙিক্ষত আইপি সংশ্লিষ্ট দেশের না হলে ফেসবুক সেগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয না। এ কারণে কোনো সরকারের চাওয়ার বিপরীতে ফেসবুক শতভাগ তথ্য দেয় না ।

তবে গেল বছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন 'নিরাপত্তার স্বার্থে' বাংলাদেশে ফেসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে বাংলাদেশ। ওই সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ বা অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাই ব্যবহার করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে বাংলাদেশ তিনবারে ৩৪টি আইডির তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় ফেসবুকের কাছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি আবেদনে ১২ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সাতটি আবেদনে ১৭ জন এবং একই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি আবেদনে পাঁচটি, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩টি আবেদনে তিনটি এবং সবশেষে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি আবেদনে ৩১ জনের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ সরকার।

প্রসঙ্গত, প্রতি ছয় মাস পরপর ফেসবুক ‘গভর্মেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে, তা জানানো হয় না। তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে সবাই বিটিআরসির দিকেই ইঙ্গিত করে থাকেন। এছাড়া এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায় তা তুলে ধরা হলেও কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় তা উল্লেখ করা হয় না।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন দেখা যাবে https://govtrequests.facebook.com/country/Bangladesh/ এই ঠিকানা থেকে।

Tuesday, April 26, 2016

৭ কোটি আঙুলের ছাপ চুরি হয়েছে

তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষের আঙুলের ছাপ ও পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে গেছে। গত মার্চে এ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
৭ কোটি আঙুলের ছাপ চুরি হয়েছে Philippines Elections Hack leaks Voter Data
আগামী ৯ মে ফিলিপাইনের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষের আঙুলের ছাপ ও পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে গেছে। গত মার্চে এ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দাবি- হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ৯ মের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

ফিলিপিনো গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দ্য ফিলিপাইনস কমিশন অন দ্য ইলেকশনসের (কমেলেক) ওয়েবসাইটটি মার্চ মাসের শেষ দিকে হ্যাক করা হয়। এ ঘটনার কিছুদিন পর 'লুলজসেক ফিলিপাইনস' নামের অপর এক হ্যাকার দল কমেলেকের পুরো ডাটাবেজ অনলাইনে প্রকাশ করে দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেন্ড মাইক্রো’র মতে- এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সরকারি তথ্য চুরির ঘটনা। এর আগে ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের’ ভাণ্ডার থেকে দুই কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর হ্যাক করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ফিলিপাইনে প্রতি ৬ বছর পরপর সাধারণ নির্বাচন হয়। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটি নতুন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৮ হাজরেরও বেশি প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। দ্যা ফিলিপাইন কমিশন অন দ্যা ইলেকশনস (সংক্ষেপে কমইলেক)-এর তথ্য অনুসারে তাদের ওয়েবসাইটটি মার্চ মাসের শেষ দিকে হ্যাক করা হয়েছে। ফিলিপাইনের অজ্ঞাত এক হ্যাকার দল ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। দলটির দাবি, তারা ৯ মে’র নির্বাচনে যে স্বয়ংক্রিয় ভোটিং মেশিনগুলো ব্যবহৃত হবে সেগুলোসহ ভোট গ্রহণ ব্যবস্থাটির দুর্বলতাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার কিছুদিন পর ‘লুলজসেক ফিলিপিন্স’ নামে অপর এক হ্যাকার দল কমইলেক-এর সম্পূর্ণ ডাটাবেজ অনলাইনে পোস্ট করে দিয়েছিল।


ফিলিপাইনের হ্যাকিংটি কত বড়?

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেন্ড মাইক্রো’র মতে এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সরকারি তথ্য চুরির ঘটনা, যেটি ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউএস অফিস অব পারসোনেল ম্যানেজমেন্টের’ হ্যাকিংয়ের ঘটনার চেয়েও বড়। যুক্তরাষ্ট্রের ওই হ্যাকিংয়ে দুই কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর হ্যাক করা হয়েছিল, যদিও এখন পর্যন্ত তথ্যগুলো অনলাইনে পাওয়া যায়নি। পানামার আইন ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার মতে, এপ্রিলের শুরুতে সেখানে ১১ কোটির বেশি ডকুমেন্ট ফাঁস হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি অনলাইন ডেটিং সাইট ‘এশলে মেডিসন’, যুক্তরাষ্ট্রের  ডিপার্টমেন্ট স্টোর ‘টার্গেট’ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক প্রতিষ্ঠান ‘সনি’-তেও এমন তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেন্ড মাইক্রো এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ফিলিপাইনে প্রত্যেক নিবন্ধনকৃত ভোটারই এখন জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির আশঙ্কায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে যে, স্বাস্থ্যসেবাদাতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কতটা নিরাপদ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা?

ট্রেন্ড মাইক্রোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রায়ান ফ্লোরেস বিবিসিকে জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এমন ঘটনা আরো ঘটবে । তাই হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়া প্রতিহত করতে ওই সব দেশে তথ্য নিরাপত্তা দল গঠনের মাধ্যমে  ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার ওপর জোড় দেন ফ্লোরেস। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা করতে ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোর নিজস্ব কোনো সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠান নেই। স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছে ট্রেন্ড মাইক্রো। ট্রেন্ড মাইক্রোর ম্যানেজার রায়ান ফ্লোরেস মনে করেন, এমন ঘটনা আরো ঘটবে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। তাই এটি প্রতিহত করতে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ প্রয়োজন। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে একটি দল থাকবে যারা খুব সংবেদনশীল তথ্যগুলো এবং ট্র্যাক করা যেতে পারে এমন সফটওয়্যার ইনস্টল করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লোরেস আরও বলেছেন, ‘ফিলিপাইনের মতো দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা নেই’। ‘অসৎ উদ্দেশ্য আছে এমন যে কেউ এর মাধ্যমে ভোটের ফল পাল্টে দিতে পারে।’

তথ্যসুত্রঃ বিবিসি



Monday, April 25, 2016

ভোগান্তি দূর করতে আসছে ই-পাসপোর্ট

বিশ্বের ১১৮টি দেশের পর এবার বাংলাদেশেও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বয়সভেদে পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাঁদের এখন এমআরপি পাসপোর্ট আছে, মেয়াদ শেষ হলে তাঁদের ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্টে পাতায় থাকা চিপসে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এতে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপসহ সিকিউরিটি চিহ্ন থাকবে। এই সিকিউরিটি ব্যবস্থার কারণে পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে। যেসব দেশে ই-পাসপোর্টের সুবিধা রয়েছে, সেখানে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না।

e-Passport in Bangladesh
ePassport
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্টের মেয়াদ বয়সভেদে পাঁচ ও দশ বছর করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৮ বছরের নিচে ও ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এবং ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের জন্য ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। বর্তমানে সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট করতে যথাক্রমে তিন হাজার ও ছয় হাজার টাকা ফি দিতে হয়। এবার পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট নিতে যথাক্রমে সাড়ে ৫ হাজার ও ১১ হাজার টাকা ফি লাগবে। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হলে সাধারণ পাসপোর্ট করতে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টে ১২ হাজার ৬৫০ টাকা খরচ হবে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র, বাংলাদেশি শ্রমিক-অধ্যুষিত মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিছুদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও) দেন।


এদিকে রোববার আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৬’ এবং বিভাগীয় আঞ্চলিক ১০টি পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট চালু হওয়ার পরে পাসপোর্ট ইস্যুতে প্রতারণার অবসান ঘটবে। এখন আরও নতুন প্রযুক্তি এসে গেছে। তাই ইলেকট্রনিক পাসপোর্টও আমরা তৈরি করব, এ পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটছে। এই অধিদফতরকে ডিজিটাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। 

Sunday, April 24, 2016

৪ প্যাকেজে ২৩০ টেলিভিশন চ্যানেল দেখাবে ‘জাদু ডিজিটাল’

জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্স, যা এই মুহূর্তে ২৩০টিরও বেশি ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল ডেলিভার করছে। চ্যানেলের সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য জাদু সেভার, জাদু ভ্যালু, জাদু সুপার এইচডি ও জাদু প্রিমিয়াম এইচডি নামে ৪টি ফ্যান্টাস্টিক প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
৪ প্যাকেজে ২৩০ টেলিভিশন চ্যানেল দেখাবে ‘জাদু ডিজিটাল’

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো জাদু ডিজিটাল। শনিবার সন্ধায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুল হক।

আরো পড়ুনঃ দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্স, যা এই মুহূর্তে ২৩০টিরও বেশি ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল ডেলিভার করছে। চ্যানেলের সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। জাদু ডিজিটাল গ্রাহকদের জন্য জাদু সেভার, জাদু ভ্যালু, জাদু সুপার এইচডি ও জাদু প্রিমিয়াম এইচডি নামে ৪টি ফ্যান্টাস্টিক প্যাকেজ ডিজাইন করেছে। গ্রাহক তার পছন্দ মতো প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করে এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন জাদু।
এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে, টেলিভিশন - মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কারগুলোর একটি। ১৯২৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই টেলিভিশন সবার দৈনন্দিন বিনোদনের অন্যতম উৎস। সময়ের পরিবর্তনে একে একে এসেছে ইলেকট্রিক টেলিভিশন, ডিজিটাল টিভি, এইচডি টিভি। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সংযোজন হয় স্মার্ট টিভি ও থ্রিডি টিভি। বিনোদন-প্রেমিরাও এক্সপেরিয়েন্স বদলাতে পাল্টেছেন টিভি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বদলায়নি শুধু টেলিভিশন দেখার গতানুগতিক অভিজ্ঞতা। কারণ টিভি যতই উন্নত হোক, কেবল সার্ভিস যদি ডিজিটাল না হয়, তাহলে কখনোই বদলাবে না আপনার টিভি দেখার ঝিরঝিরে এক্সপেরিয়েন্স।
টিভি দেখার এক্সপেরিয়েন্স বদলে দিতেই এসডি ও এইচডি সেট টপ বক্সসহ ডিজিটাল কেবল সার্ভিস নিয়ে এলো এক জাদুর বাক্স, জাদু ডিজিটাল। হাই ডেফিনিশন প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নিয়ে সারাদেশে ডিজিটাল কেবল সার্ভিসের বিপ্লব ঘটাতে এলো এই জাদুর বাক্স। গ্রাহকদের জন্য যুগান্তকারী বিনোদন এবং কমিউনিকেশন এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করাই জাদু ডিজিটাল-এর লক্ষ্য।
বর্তমান কেবল অপারেটরদের সহযোগিতায় গ্রাহকরা এই সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন। ঝকঝকে ছবি ও ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ডে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনোদন। শুধুমাত্র অসংখ্য চ্যানেলের অভিজ্ঞতাই নয়, জাদু’র গ্রাহকরা আরো পাবেন ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও অন ডিমান্ড, ইলেক্ট্রনিক প্রোগ্রাম গাইড, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও আইপি টেলিফোনির মতো বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস এবং ২৪ ঘণ্টা ওয়ার্ল্ড ক্লাস কল সেন্টার সাপোর্ট। যেগুলো বিনোদনকে নিয়ে যাবে এক অন্য উচ্চতায়। আরো জানতে ভিজিট করুন www.jadoodigital.com এই ঠিকানায়।

মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’

মোবাইল চুরি ঠেকাতে দেশে চালু হচ্ছে ‘আইএমইআই লক’ IMEI LOCK LAUNCHED IN BANGLADESH TO STOP THEFTদেশের চলমান চুরি, ছিনতাই এবং অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে মোবাইল ফোনে ‘আইএমইআই লক’ চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এর প্রক্রিয়া হিসেবে আগামী এক মাসের মধ্যে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরের তথ্যভাণ্ডার চালু করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বরের ডাটাবেজ তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সবার হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিতে বিদ্যমান করকাঠামো পুণ:বিবেচনা করা হতে পারে। টেলিযোগাযোগ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে  আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। মোবাইলফোন হ্যান্ডসেটের বিদ্যমান কর কাঠামো পুণঃবিবেচনা করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে  উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সবার হাতে স্মার্ট মোবাইল হ্যান্ডসেটে পৌঁছে দিতে এ খাতের বিদ্যমান কর কাঠামো প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে।' 

আরো দেখুনঃ আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হল বাংলাদেশে

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উপকরণ হ্যান্ডসেট ও টেলিকম নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস সেবা এ হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। আমাদের মোবাইল মার্কেট বড় হচ্ছে, স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়ছে, ইন্টারনেটের ৯৫ শতাংশেরও বেশী বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।” তারানা বলেন, “যত মানুষের হাতে স্মার্টফোন পৌছাবে, তত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস ব্যবহার করার ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। হ্যান্ডসেট আমদানি থেকে যে এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় তার চেয়ে বেশী আয় হতে পারে।”

টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেন, “শুধু মোবাইল হ্যান্ডসেট নয়, সুযোগ পেলে সব কিছু দেশে উৎপাদিত হবে না কেন?এই  মোবা্ইল ফোন আনতে হলে ২০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয় আর তৈরী করার জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে আসলে খরচ হয় ৩৭ শতাংশের বেশি। যারা মোবাইল ফোন আমদানি করেন তারা দ্রুত এ বিষেয় আবেদন করেন, যেখানে যা প্রয়োজন আমরা করবো।”
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ) সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিক বলেন, “একটি ব্যবসা বান্ধব নীতিমালা দরকার। দুই বছর আগে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ হ্যান্ডসেটে কর আরোপ করা হয় ফ্যাক্টরি হবে এই বলে, তবে তা হয়নি। হ্যান্ডসেট তৈরীর জন্য কর কাঠামো কমালে আমরা এগিয়ে আসতে পারবো। ৫ শতাংশ কর করা হলে  আগামী তিন বছরে আমদানি নির্ভর দেশ থেকে বের হয়ে আসবো। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো এখানে আসতে শুরু করবে। ট্যাক্স ফ্রেন্ডলি হলে দেশে সব ধরণের ব্র্যান্ড তৈরী হবে।” স্মার্টফোনের যে ২০ শতাংশ গ্রোথ রয়েছে, করকাঠামো পুন:বিবেচনা করা হলে এ গ্রোথ আরো বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন মানিক।

বিএমপিআইএ সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, “বর্তমানে দেড় কোটি হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। কথা বলা নয় এই ডিভাইসে সব ধরণের কাজ করা হচ্ছে। দেড় কোটি স্মার্টফোন হওয়াতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা যদি সবার হাতে এই স্মার্টফোন তুলে দেয়া যায় তাহলে ৭ থেকে ৮ কোটির একটি বিশাল মার্কেট হবে। এজন্য একটি মাস্টার রোডম্যাপ দরকার, একটি নীতমালা করা দরকার আগামী বছরগুলোতে আমরা কোন অবস্থানে থাকতে চাই।”
সরকারের কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর মহাপরিচালক ড. মইনুল খান, ঢাকা কাস্টটম হাউজ কমিশনার লুৎফর রহমান, বিটিআরসি মহাপরিচালক কর্নেল নাসিম পারভেজ, অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) প্রতিনিধি এবং গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন  এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলমসহ টেলিযোগাযোগখাতের সংশ্লিষ্টরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।

Saturday, April 23, 2016

দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে। 


দেশে প্রথম ডিরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) সেবা রিয়েল ভিইউ চালু করতে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড। এই প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি টেলিভিশন সিগন্যাল গ্রহনের মাধ্যমে গ্রাহকেরা বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন। তাই টিভি দেখার বিশ্বের সর্বাধুনিক সুবিধা এবং প্রযুক্তি দেশে চালু হতে যাচ্ছে। মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন। প্রধান প্রধান সব চ্যানেলই থাকবে তালিকাতে, পাশাপাশি পাঁচটি এইচডি চ্যানেল দেখা যাবে একই প্যাকেজে। 

মাসে মাত্র ৩০০ টাকায় গ্রাহক ডিটিএইচ সেবা দিয়ে ২৬টিরও বেশি বাংলা চ্যানেলসহ ১০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখতে পারবেন
ডিটিএইচ
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস এর প্রধান নির্বাহি দিমিত্রি লেপিস্কি এসব কথা জানান। তিনি আরো বলেন, “খুব শীঘ্রই রিয়েল ভিইউ ব্র্যান্ড নামে ডিটিএইচ সেবা চালু করতে আমরা সম্পূর্ণ তৈরি এবং বাংলাদেশের টিভি দর্শকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতায় আমূল পরিবর্তন আনবে এই সেবা। এবিএস স্যাটেলাইট বীমের প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে শুরুতে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে এই সেবা প্রদান করা হবে এবং ধীরে ধীরে সারা দেশের মানুষই এই সেবা গ্রহন করতে পারবেন।” রিয়েল ভিইউ এর ছবি অ্যানালগ কেবল টিভির ছবির চেয়ে অনেক গুণ ভালো হবে বলেও জানান তিনি। 
রিয়েল ভিইউ সেবা নিতে একজন গ্রাহকের দরকার পড়বে একটি সেট টপ বক্স এবং ডিশ অ্যান্টেনা। ইন্সটলেশন এবং মূল্য পরিশোধের পরই একজন গ্রাহক ডিটিএইচ সেবা উপভোগ করতে পারবেন। রিয়েল ভিইউ গ্রাহকদের জন্য থাকছে ২৪ ঘন্টা গ্রাহকসেবা সুবিধা। মাসিক বিল পরিশোধ করা যাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। গ্রাহকের দোরগড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেড ডিস্ট্রিবিউটেরদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের সরকার বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস লিমিটেডকে দেশে ডিটিএইচ সেবা চালুর লাইসেন্স প্রদান করে। এই সেবা চালুর জন্য সকল প্রয়োজনীয় অনুমোদন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) প্রদান করেছে। এখন কোম্পানিটি গ্রাহকদের টিভি দেখার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার শেষ ধাপে রয়েছে।

রিয়েল ভিইউ বেক্সিমকো এবং জিএস গ্রুপের একটি যৌথ উদ্যোগ। বেক্সিমকো বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। কমোডিটি পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করলেও কোম্পানিটি এখন বিভিন্ন শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে যেগুলোর অবদান দেশের জিডিপিতে শতকরা ৭৫ ভাগ। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নিয়ে যাওয়াই কোম্পানিটির লক্ষ্য। এ লক্ষ্যেই পরবর্তী প্রজন্মের বিনোদন চাহিদা মেটাতে ডিটিএইচ সেবা চালু করা। অপরদিকে জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি যারা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবা দিচ্ছে।
জিএস গ্রুপ একটি রাশিয়ান বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যেটি টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। শুধু বাংলাদেশই নয় জিএস গ্রুপ কম্বোডিয়া এবং পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিয়ে আসছে। এই ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। রাশিয়াতে ন্যাশনাল ডিজিটাল টিভি প্রজেক্ট তারাই প্রনয়ন করেছে এবং ব্যবস্থাপনাও করছে, পাশাপাশি সফলভাবে প্রযুক্তি রপ্তানীতেও তারা অত্যন্ত সফল। ডিটিএইচ এমন একটি ডিজিটাল টেলিভিশন ডিস্ট্রিবিউশন সেবা যেখানে গ্রাহক সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে বাসায় স্থাপিত ডিজিটাল সেট টপ বক্সের মাধ্যমে টিভি সিগন্যাল গ্রহন করতে পারবে। বর্তমানে প্রচলিত যে কেবলের মাধ্যমে দর্শকরা টিভি দেখে থাকেন সে কেবলের আর প্রয়োজন থাকবে না ডিটিএইচ সেবা গ্রহন করার পর।

দেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক ডিটিএইচ সেবা চালু হচ্ছে আজ

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হাই ডেফিনিশন, প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক ‘ডিরেক্ট টু হোম’ (ডিটিএইচ) সেবা চালু করছে ‘জাদু ডিজিটাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অন্তত ৬ জন মন্ত্রী উপস্থিত থেকে এই সেবাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এর আগে গত ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো কমিউনিকেশনস ‘রিয়েল ভিইউ’ নামে সেবাটি চলতি এপ্রিলে চালু করার ঘোষণা দিলেও তার আগেই জাদু ডিজিটাল আজ সবার আগে এটি চালু করার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।
জাদু ডিজিটালের আমন্ত্রণপত্র থেকে জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আরো দেখুনঃ দেশে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে ডিটিএইচ সেবা

এর আগে জাদু ডিজিটাল জানিয়েছিল, ডিজিটাল কেবল সার্ভিসের বিপ্লবে নতুন সদস্য যোগ হচ্ছে জাদু ডিজিটাল। হাই ডেফিনিশন, প্রিমিয়াম টিভি সার্ভিস এবং ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নিয়ে সারা দেশে আসছে এই জাদুর বাক্স। প্রতিষ্ঠানটি মার্চ মাস থেকে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু এবং এপ্রিলে (২৩ এপ্রিল) নিজস্ব সেট টপ বক্সের মাধ্যমে সব গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু করবে।

জাদু ডিজিটাল ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড লিমিটেডের কনজ্যুমার ব্রান্ড। ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড মোহাম্মদী গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, যার চেয়ারমান আনিসুল হক। ডিজি জাদু ব্রডব্রান্ড গত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কেবল টিভি ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ হিসেবে স্টার টিভি নেটওয়ার্ক, বিবিসি, টেন স্পোর্টস, নিও স্পোর্টস, এবিপি, টাইমসসহ ২০টিরও বেশি এক্সক্লুসিভ চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করে আসছে।
জাদু ডিজিটাল বিশ্বের সর্বাধুনিক ও স্টেট অব দ্য আর্ট প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ভিডিও ও ইন্টারনেট সার্ভিস তৈরি করেছে, যা ২৫০টিরও বেশি ডিজিটাল চ্যানেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনোদন নিয়ে আসবে। থাকবে ঝকঝকে ছবি ও ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সাউন্ডসহ ২৪ ঘণ্টা। এর গ্রাহকরা আরো পাবেন ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও অন ডিমান্ড, ইলেক্টধনিক প্রোগ্রাম গাইড, হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও আইপি টেলিফোনির মতো বিভিন্ন ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস এবং ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার সাপোর্ট।

ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ কাভারেজ ও টু-ওয়ে অ্যাড্রেসেবল সিস্টেম সুবিধা পেতে জাদু ডিজিটাল সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টিভি সফটওয়্যার কোম্পানি টিভো’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

Friday, April 22, 2016

যে দুটি ফিচার প্রত্যেকটি ল্যাপটপে থাকা উচিত

acers-new-chromebook-is-sleek-and-rugged

ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাসার বৃহস্পতিবার ক্রোমবুক ১৪ নামে নতুন একটি ল্যাপটপ বাজারে ছেড়েছে। তবে এটিতে এমন দুটি যুগপোযুগী ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা এখন থেকে প্রত্যেকটি ল্যাপটপে থাকা অবশ্যম্ভবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাসার ব্যবসায়িক কাজের সহায়ক ডিভাইস হিসেবে ক্রোমবুক ১৪-এর বাণিজ্যিক প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে যে কেউ এর অনন্য ফিচারদ্বয় উপভোগ করতে পারবেন। ফিচারদ্বয়ের মধ্যে একটি হলো পানি-নিরোধক কিবোর্ড। ল্যাপটপের কিবোর্ডে পানি পড়লেই এর নিচে থাকা নালাটি সব পানি ফেলে দিতে সক্ষম।

ACER CHROMEBOOK SPILL RESISTANT DRAINS WATER AWAY BUSINESS CLASSY NAME CARD HOLDER

আরেকটি ফিচার যা প্রত্যেকটি ল্যাপটপে থাকা উচিত তা হলো স্থায়িত্ব। কেননা প্রত্যেকটি ল্যাপটপের যেকোন ধরণের ঘা, পড়ে যাওয়া হজম করার ক্ষমতা থাকা উচিত। কিছু ল্যাপটপ অল্প-স্বল্প মজবুত থাকে। তবে এর মধ্যে কিছু ল্যাপটপ আবার মিলিটারি-রেটেড স্ট্যান্ডার্ড। অ্যাসার ক্রোমবুক ১৪ ল্যাপটপটি ‘মার্কিন মিলিটারি স্ট্যান্ডার্ড ৮১০ গ্রাম’ স্বীকৃত। ৪৮ ইঞ্চি থেকে পড়লেও নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম ল্যাপটপটি। এটি উচ্চ-নিম্ম তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, কম্পন, বৃষ্টি, ধূলিকণা, বালি প্রভৃতিতে মানিয়ে নিতে সক্ষম। তবে এরকম মজবুত এটাই প্রথম নয়। প্যানাসনিকের টাফবুক ল্যাপটপগুলো বেশ স্থায়ী এবং বেশিরভাগ পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে সেগুলোই এতোটাই গাট্টাগোট্টা যে অনেকের তা নাও পছন্দ হতে পারে।


ACER CHROMEBOOK EXPRESS AN IDENTITY

তবে অ্যাসারের নতুন ল্যাপটপটি অনেক মসৃণ। তাছাড়া আপনি চাইলে ল্যাপটপটির ফ্রন্ট প্যানেলের গরিলা গ্লাসটি বিভিন্ন নকশায় কাস্টোমাইজ করতে পারবেন। এটি ক্রোমওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলে। পানি নিরোধক কিবোর্ডটিতে আছে ইনটেল কোরআই প্রসেসর, ৮জিবি র‌্যাম এবং ৩২জিবি অভ্যন্তরীন স্টোরেজ। তবে ১৬ জিবি স্টোরেজ ও ২জিবি র‌্যামের ক্রোমবুক ১৪-এর দাম পড়বে ৩৪৯ মার্কিন ডলার। এটি মে মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যাবে।

Thursday, April 21, 2016

ফেসবুক তাদের মেসেঞ্জারে যোগ করেছে গ্রুপ ভয়েস কল

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বুধবার মেসেঞ্জারে বিনামুল্যে গ্রুপ কল করার সুবিধার ঘোষণা দেয় । অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারীরা ফিচারটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরো দেখুনঃ ফেসবুক User Name (FB.Com/Username ) পরিবর্তন করুন যত খুশি তত বার

Facebook Adds Free Group Voice Calls to Its Messenger App এখন থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিনামুল্যে গ্রুপ ভয়েস কল করা যাবে
Messenger Group Voice Calls
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বুধবার মেসেঞ্জারে বিনামুল্যে গ্রুপ কল করার সুবিধার ঘোষণা দেয় । অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ব্যবহারকারীরা ফিচারটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।সুবিধাটি উপভোগ করতে চাইলে চ্যাটবক্সের পাশের ফোন আইকনে চাপ দিতে হবে এবং কোন কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে চান, তাদের সিলেক্ট করে ডায়াল বাটনে ক্লিক করতে হবে।
আর সবাই কল রিসিভ করার সাথে সাথে গ্রুপ কনভারসেশন শুরু করা যাবে। একটি গ্রুপ কলে সর্বোচ্চ ৫০ জন পর্যন্ত অংশ নিতে পারবে।ধারণা করা হচ্ছে, এই গ্রুপ কলের সুবিধা তৈরি হওয়ার পর গুগল হ্যাংআউট, মাইক্রোসফট স্কাইপে কিংবা স্ল্যাকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।

Wednesday, April 20, 2016

প্রথমবারের মতো দেশে হ্যান্ডসেটের কারখানা খুলছে ওয়ালটন

বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো আগামী বছরেই মোবাইল হ্যান্ডসেটের কারখানা খুলতে যাচ্ছে ওয়ালটন। ইতিমধ্যে এ খাতে ১৫০ জন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মোবাইল ফোন সেট তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নীতিমালার গ্রীন সিগন্যাল পেয়েই দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক কারখানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ওয়ালটন মোবাইল ডিস্ট্রিবিউটর কংগ্রেস-২০১৬তে ওয়ালটন গ্রুপের পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি এই পরিকল্পনার কথা জানান।

প্রথমবারের মতো দেশে হ্যান্ডসেটের কারখানা খুলছে ওয়ালটন Bangladeshi Walton Conglomerate Company Opening Their Handset Factory in Bangladesh From 2017


মঞ্জুরুল আলম বলেন, মোবাইল সেট বিক্রিতে ইতিমধ্যে বছরে গড়ে ২০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ওয়ালটন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে এগিয়ে নিতে ওয়ালটন দেশের ভেতরেই মিড ও হাই রেঞ্জের মোবাইল ফোন সেট ও ট্যাব তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এজন্য সবার আগে সরকারি নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশ-বিদেশে ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
--> এসএম শামসুল আলম বলেন, ফ্রিজ ও টেলিভিশনের মতো খুব শিগগিরই মোবাইলের পেছনে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। এজন্য ওয়ালটন গ্রুপ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ওয়ালটন এখন কোনো পণ্য নয়, ওয়ালটন একটি ব্র্যান্ড; যা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বময়। ‘চলো একসাথে ইতিহাস গড়ি’ স্লোগানে শুরু হওয়া দিনব্যাপী কংগ্রেসে সারা দেশ থেকে আসা ওয়ালটন মোবাইল ফোন বিভাগের ২৫টি জোনের ১৭০ জন ডিস্ট্রিবিউটর অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএস নূরুল আলম রেজভী, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম, পরিচালক এসএম রেজাউল আলম, এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি এবং তাহমিনা আফরোজ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা; পলিসি, এইচআরএম এবং এডমিন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার, ফরেইন ট্রেড মনিটরিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, পিআর অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, অপারেটিভ ডিরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের প্রমুখ।

Sunday, April 17, 2016

আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হল বাংলাদেশে

মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক আজ রোববার বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স সেবা চালু করেছে। ফলে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহকরা এখন বিদেশ হতে প্রেরিত রেমিটেন্স সরাসরি তাদের বিকাশ একাউন্টে গ্রহণ করতে পারবেন।
                                                        
MasterCard, Western Union Join bKash To Make Cross-Border Money Transfers Into Mobile Phones A Reality For 22 Million Bangladeshisমাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং ব্র্যাক ব্যাংক আজ রোববার বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স সেবা চালু করেছে। ফলে বিকাশের নিবন্ধিত গ্রাহকরা এখন বিদেশ হতে প্রেরিত রেমিটেন্স সরাসরি তাদের বিকাশ একাউন্টে গ্রহণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক রেমিটেন্স  গ্রহণকারী দেশ। এই নতুন সেবা চালুর ফলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিদেশে বসবাসরত তাদের স্বজনদের পাঠানো রেমিটেন্স গ্রহণ অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হবে। বিকাশ-এর অভূতপূর্ব সাফল্যের উপর ভিত্তি করে চালু হয়েছে এই নতুন ধরণের রেমিটেন্স সেবা। ২০১১ সালের চালু হওয়া বিকাশ-এর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ২২ মিলিয়ন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত যেকোন ব্যক্তি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে পাঠানো রেমিটেন্স  বিকাশ-এর গ্রাহকরা এখন তাদের একাউন্টে সরাসরি গ্রহণ করতে পারবেন। ২০০ টিরও বেশি দেশে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ৫০০,০০০ লাখেরও বেশি এজেন্ট লোকেশন ছাড়াও রয়েছে ডট.পড়স ডিজিটাল চ্যানেলস, এবং ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে রেমিটেন্স প্রেরণের সুবিধা। এই ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড তার সেন্ড মানি প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নকে সংযুক্ত করে রিয়েল-টাইম, ব্যাক-এন্ড সল্যুশন প্রদানের মাধ্যমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যা রেমিটেন্স  প্রক্রিয়ার নির্ভরযোগ্যতা কার্যকারিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।   
নতুন রেমিটেন্স সেবাটি গ্রহণ করে বিকাশ-এর নিবন্ধিত গ্রাহকরা প্রায় সব দেশ থেকেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে তাদের বিকাশ একাউন্টে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই রেমিটেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। রেমিটেন্স গ্রহণ প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। এক্ষেত্রে বিকাশ মেন্যুতে যেয়ে রেমিটেন্স ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন নির্বাচিত করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেফারেন্স নাম্বার (এমটিসিএন) প্রবেশ করে, টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে বিকাশ পিন চাপতে হবে। পরবর্তী ধাপে লেনদেনের অনুরোধটি মাস্টারকার্ডের সিকিউরড পেমেন্ট টেকনলজির  মাধ্যমে  সরাসরি বিকাশ একাউন্টে চলে যাবে।

আরো দেখুনঃ ল্যাপটপের বিকল্প "স্যামসাং ট্যাব প্রো এস"

একজন বিকাশ গ্রাহক দিনে একটি একক লেনদেনের সর্বোচ্চ টাকার পরিমাণ হবে ৩৫ হাজার টাকা (প্রায় ৫০০ ডলার)। একজন গ্রাহক দিনে পাঁচবার লেনদেন করতে পারবেন যার সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা (প্রায় ১৫০০ ডলার)। মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেন করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্টে সর্বোচ্চ স্থিতি থাকবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিকাশ বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশকে আর্থিক সেবায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। দরিদ্র ও ব্যাংকিং সুবিধা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে একটি নিয়মতান্ত্রিক আর্থিক কাঠামোয় অংশগ্রহণে সুযোগ দিয়ে বিকাশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এই রেমিটেন্স  সেবায় ফরেন রেমিটেন্স রেগুলেশন প্র্যাকটিস অনুসারে ওভারসিজ ফান্ড ফ্লো প্রক্রিয়া করবে  ব্র্যাকব্যাংক।

বিকাশ- এর নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন “নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রথমসারির প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়ে রেমিটেন্স  সেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর ফলে বিকাশ গ্রাহকরা সরাসরি তাদের একাউন্টে বিদেশ থেকে স্বজনদের প্রেরিত অর্থ দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই গ্রহণ করতে পারবেন। এটি দেশে বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনা বয়ে এনেছে”।

MasterCard, Western Union Join bKash To Make Cross-Border Money Transfers Into Mobile Phones A Reality For 22 Million Bangladeshis


মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশন্সের গ্রুপ এক্সিকিউটিভ ম্যাথিউ ড্রাইভার বলেন, ‘‘আগামী ২০২০ সাল নাগাদ নতুন ৫০ কোটি মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের যে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটি পূরণের পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। কেবল বাংলাদেশেই নয় বিশ্বজুড়েই মোবাইল ফোনের গ্রাহক ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন সাধারন মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের আর্থিক কর্মকান্ডের আওতায় নিয়ে আসার দারুণ এক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিকাশ ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মতো প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে অর্থ স্থানান্তর এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বব্যাপী এই কার্যক্রম প্রসারের প্রচেষ্টায় জড়িত হতে পারাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশের মাধ্যমে নতুন এই সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের প্রসার ঘটবে বলে আমরা আশা করি।’’
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া-প্যাসিফিক, পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লড ফারাহ বলেন, ‘‘বিকাশ, ব্র্যাকব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের সাথে এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর কার্যক্রমের অংশীদার হতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ক্রস-বর্ডার ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম (ঋরহঞবপয ঢ়ষধঃভড়ৎস) প্রযুক্তি, নিয়ন্ত্রণ, কমপ্লায়েন্স ও অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সুবিধার মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে যথাসময়ে অর্থ স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেয়ে মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেশি বাড়ছে সেখানে মোবাইল ফোনে ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার সেবা চালুর ফলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম আরও দ্রুত বিকশিত হবে।’’
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হুসেইন বলেন, ‘‘বিকাশ, মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও ব্র্যাক ব্যাংকের এই যৌথ উদ্যোগ বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে। যুগান্তকারী এই সেবা চালুর ফলে দেশের গ্রাহকেরা প্রথমবারের মতো তাঁদের মোবাইল ফোনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে স্বজনদের পাঠানো রেমিটেন্স  গ্রহন করতে পারবেন। তা ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কীভাবে বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আমাদের নতুন এই সেবা। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমরা সব সময়ই উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের দুর্দান্ত ব্যাংকিং সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন উদ্যোগটির মাধ্যমে বিকাশ, মাস্টারকার্ড ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে আমাদের অংশীদারিত্বের সূচনা হলো। এখন আমরা গ্রাহকদের সহজে ও সুলভে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় সেবা দেয়ার আশা করছি। 

১৭০০০ মার্কিন ডলারের ও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসরযুক্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সোলারিন স্মার্টফোনটিতে ওয়াই-ফাই সংযোগসহ আছে ২৩.৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা।...

 

© 2017 TECHDVICE. All rights resevered.

Back To Top