Showing posts with label টেক টক. Show all posts
Showing posts with label টেক টক. Show all posts

Monday, May 23, 2016

অ্যাপেলের আসন্ন আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস উভয়েই থাকবে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা ?

আইফোনে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা
অ্যাপেলের আসন্ন আইফোনে ওআইএস এবং এলজি বা সনি’র ক্যামেরা

অ্যাপেলের আসন্ন আইফোন সব সময়ই আলোচনার শীর্ষে থাকে। সে কারণেই এরই মধ্যে আমরা অ্যাপেলের পরবর্তী আইফোন সম্পর্কে অনেক ধরণের তথ্য জানতে পেরেছি। অবশ্য সে সব তথ্যের সবটুকুই আমরা পেয়েছি গুজব থেকে। আগামীতে অ্যাপেল আমাদের দিচ্ছে আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস । আইফোন ৭ প্লাসকে আইফোন ৭ প্রো নামেও ডাকা হতে পারে। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে তা থেকে আশা করা যায় ফোন দুটি দেখতে আইফোন ৬ এর চেয়ে খুব বেশি ভিন্ন কিছু না হলেও হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ক্যামেরার গুনগত দিক থেকে সেগুলি আগের ফোন দুটির চেয়ে অনেক বেশি উন্নততর হবে।

--> এতোদিন পর্যন্ত শোনা বেশির ভাগ গুজব বলছে, আইফোন ৭ প্লাসে থাকবে অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনযুক্ত (ওআইএস)ডুয়াল ক্যামেরা। অন্য দিকে আইফোন ৭ এর ক্যামেরাতে ওআইএস থাকবে না। কিন্তু নম্যুরা সিকিউসিরিটিজ এর বিশ্লেষক ক্রিস চ্যাং আশা করছেন অ্যাপেলের আসন্ন দুটি ফোনেই থাকবে ওআইএস যুক্ত ক্যামেরা। 

আরো দেখুনঃ ২০১৭ সালে আসছে গুগলের পরিবর্তনযোগ্য হার্ডওয়্যারের স্মার্টফোন ।

বর্তমানে অ্যাপেলের শুধুমাত্র আইফোন ৬ প্লাস ও আইফোন ৬ এস প্লাসে ওআইএসযুক্ত ক্যামেরা দেয়া আছে। সে কারণে আইফোন ৭ ই হতে পারে অ্যাপেলের ৪.৭ ইঞ্চি আকারের ফোন যাতে প্রথমবারের মতো ওআইএস ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই সেটগুলি অল্প আলোতে উচ্চ মান সম্পন্ন ছবি তুলতে ও ভিওিড ধারণে সক্ষম হবে। 

নম্যুরা সিকিউরিটিজ আরো জানিয়েছে যে, এতোদিন অ্যাপেলের একমাত্র সনি’র সাথে আইফোন ৭ এর জন্যে ক্যামেরা মডিউল সরবরাহের বিষয়ে প্রাথমিক চুক্তি ছিল। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে সনি’র পক্ষে এতো বেশি যন্ত্রাংশ সরবারাহ করা হয়তো সম্ভব হবে না। সে কারণে অ্যাপেল তাদের পরবর্তী ফোন দুটির জন্যে এলজি ইনোটেকের কাছ থেকেও ক্যামেরা নিতে পারে । আশা করা যায় এ রকম একটি সিদ্ধান্তে আইফোনের গ্রাহকেরা ভালো ক্যামেরা যুক্ত ফোন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না। 

যাহোক, বিগত বছরগুলির মতো এবারও অ্যাপেল আগামী সেপ্টেম্বরে তাদের আসন্ন আইফোনের ঘোষণা দেবে বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন।

Thursday, May 19, 2016

চিপসেটঃ আসুন চিপসেট সম্পর্কে জানি ।


চিপসেট কি ?

চিপসেট (chipset) হলো একাধিক চিপের সমষ্টি যা সাধারণত মাদারবোর্ডে ব্যাবহার করা হয়। চিপসেট সমূহ এক্সপেনশন কার্ড (যেমনঃ গ্রাফিক্স কার্ড) –এও ব্যাহৃত হতে পারে। এই চিপসেটগুলো মূলত প্রসেসরের সাথে বিভিন্ন এক্সটারনাল ডিভাইস বা কম্পোনেন্ট (component) এর সাথে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

আরো দেখুনঃ এবার কম্পিউটার বন্ধ হবে আপনার দেওয়া সময় মত
ইনটেল চিপসেট
Intel Chipset
মূলত একই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট চিপসমূহ বা Integrated Circuits নিয়ে চিপসেট গঠিত হয়। যেমন ধরা যাক আপনার কম্পিউটারে মডেমের কাজ করার জন্য এক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। আবার সিপিউ এর সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য আরেক ধরনের চিপসেট থাকতে পারে। তবে বর্তমানে একাধিক কাজ করতে পারে এমনও চিপসেট তৈরী করা হচ্ছে।
পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য সর্বপ্রথম চিপসেটটির নাম ছিলো NEAT chipset. এটি IBM PC AT এর Intel 80268 সিপিউর জন্য Chips andTechnologies তৈরী করেছিলো।
-->

নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজ

ইন্টেলের পেইন্টিয়াম সিরিজের মাইক্রোপ্রোসেসরগুলোর উপর ভিত্তি করে যে চিপসেটগুলো তৈরী করা হয় সেগুলো সাধারণত মাদারবোর্ডের “নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজ” (Northbridge and Southbridge) নামেই পরিচিত।
মাদারবোর্ড ব্রিজ
Motherboard
নর্থব্রিজ প্রসেসরের (CPU) সাথে উচ্চগতির ডিভাইসসমূহর সংযোগ রক্ষা করে। এই উচ্চগতির ডিভাইসসমূহ বলতে মেইন মেমোরী (RAM) এবং গ্রাফিক্স কন্ট্রোলারকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
উত্তর ব্রীজ
North Bridge
সাউথব্রিজ সাধারণত নিম্নগতির বাস (BUS যেমনঃ PCI অথবা ISA) এর সাথে প্রসেসরকে যুক্ত করে। তবে বর্তমানে অনেক আধুনিক চিপসেটের সাউথব্রিজে Ethernet, USB, audio ইত্যাদি বিল্টইন ডিভাইসমূহের চিপ সংযুক্ত থাকে।
দক্ষিন ব্রীজ
South Bridge

HyperTransport এবং QuickPath

প্রসেসরের সাথে মেইন মেমোরির যুক্ত করার পথকে বলা হয় ফ্রন্ট সাইড বাস (Front Side Bus বা সংক্ষেপে FSB) । এবং এই FSB সরাসরি নর্থব্রিজই কন্ট্রোল করত। ২০০৩ সালে চিপসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এএমডি Athlon সিরিজের ৬৪ বিট প্রসেসর সর্বপ্রথম বাজারে নিয়ে আসে। এই ৬৪ বিট প্রসেসরের জন্য মেইন মেমোরীর সাথে আরও উচ্চগতির যোগাযোগ সম্পন্ন করার প্রয়োজন হয়। এজন্য তারা HyperTransport নামক একটি নতুন protocol নিয়ে আসে যা FSB র সকল কাজ নিজ দায়িত্বে নেয়।
কিন্তু ২০০৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত Intel এর চিপসেট যুক্ত মাদারবোর্ডে FSB র দায়িত্ব নর্থব্রিজের উপরেই ছিলো। ২০০৮ সালে ইন্টেল Core I সিরিজের মাইক্রোপ্রোসেসর বাজারজাত করে এবং একই সাথে তারা FSB এর কাজগুলো QuickPath নামক একটি নতুন protocol এর সাহায্যে করে। Intel QuickPath protocol নিয়ে আসে মূলত এএমডির সাথে প্রতিযোগীতার জন্যেই। তবে ইন্টেলের নতুন কিছু মাদারবোর্ডে সাউথব্রিজ ও নর্থব্রিজের পরিবর্তে Platform ControllerHub নামক নতুন একটি IC ব্যবহার করা হয়।

এএমডি চিপসেট
AMD Chipset

চিপসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

পূর্বে কম্পিউটারের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান চিপসেট নির্মাণ করতো। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র AMD, Intel ও VIA কম্পিউটারের জন্য চিপসেট নির্মাণ করছে। AMD ও Intel শুধুমাত্র তাদের প্রস্তুকৃত প্রসেসরের জন্যেই চিপসেট নির্মাণ করে। তবে VIA ইন্টেল ও এএমডি উভয় প্রসেসরের জন্যেই চিপসেট নির্মাণ করে থাকে। এছাড়াও পূর্বে যে সকল প্রতিষ্ঠান চিপসেট নির্মাণ করতো তারা হলো  ATI, SIS, nVIDIA, ULi/ALi, UMC, OPTi ইত্যাদি।

VIA Chipset ভায়া চিপসেটএকটু কনফিউশন

অনেকের মধ্যেই মাদারবোর্ড এবং চিপসেটের মধ্যে কনফিউশন থাকতে পারে। যেমনঃ মাদারবোর্ডে ইন্টেলের চিপসেট আছে বলেই তা ইন্টেলের মাদারবোর্ড হবে এমন না। ASUS, Gigabyte, MSI, ECS, ASRock, Biostar  এবং Intel মাদারবোর্ড প্রস্তুত করে। মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইনটেল অথবা এএমডির কাছ থেকে চিপসেট কিনে তাদের মাদারবোর্ডে যুক্ত করে। তবে প্রথম আলো পত্রিকা থেকে জানতে পেরেছি যে Intel আর মাদারবোর্ড প্রস্তত করবে না।

Monday, May 2, 2016

মাদারবোর্ড কি ?

মাদারবোর্ড কি ও এর কাজ
Motherboard
মাদারবোর্ড হল ব্যাক্তিগত কম্পিউটারের মত জটিল ইলেকট্রনিক সিস্টেম এর মূল সার্কিট বোর্ড(পিসিবি)। মাদরবোর্ডকে কখনও কখনও মেইনবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ড -ও বলা হয়। তবে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে এটিকে লজিকবোর্ড[১] বলা হয়। মাদারবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়।


সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে মাইক্রোপ্রসেসর,প্রধান মেমরি ও কম্পিউটারের অন্যান্য অপরিহার্য অংশযুক্ত থাকে। অন্যান্য অংশের মধ্যে আছে শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত তথ্যভান্ডার, বিভিন্ন প্লাগইন কার্ড যেমন ল্যান কার্ড ইত্যাদি। কি-বোর্ড,মাউসসহ সব ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসুস,গিগাবাইট,ইন্টেল,ইসিএস ইত্যাদি। আসুস বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি।

Friday, April 29, 2016

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিল ফেসবুক

বাংলাদেশ সরকারের করা অনুরোধে প্রথমবারের মতো সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। গত বছরের শেষ ছয় মাসের তথ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুক প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ উল্লেখ করা হয় এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৪টি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেওয়ার হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে, যেসব দেশে ফেসবুকের অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল নেই, সেসব দেশের সরকার কোনো ব্যক্তির তথ্য চেয়ে পাঠালেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দেয় না। তবে অনুরোধের বিপরীতে যথার্থ কারণ খুঁজে পেলে সংশ্লিষ্ট আইডি ব্লক করে বা ক্ষতিকর পোস্ট সরিয়ে ফেলে ফেসবুক।


আর যেসব দেশে অফিস বা অ্যাডমিন প্যানেল রয়েছে বা নিদেনপক্ষে কোন ধরনের সমঝোতা চুক্তি আছে, সেসব দেশের সরকারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য চাওয়া হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে দেখে, ওই ব্যক্তি বা আইডি আন্তর্জাতিক শান্তি বিনষ্টের জন্য কাজ করছে কি না। এছাড়া কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদ বা সংঘর্ষের সাথে তার যোগসাজশ পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির তথ্য ফেসবুক সরকারকে সরবরাহ করে থাকে এবং সে দেশের সরকারের চাওয়া-অনুরোধকেও গুরুত্ব দেয়। সংশ্লিষ্ট আইডির আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) নম্বর যদি ওই দেশের হয়ে থাকে, তাহলে ফেসবুক সেগুলো বন্ধ করতে পারে বা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে। কাঙিক্ষত আইপি সংশ্লিষ্ট দেশের না হলে ফেসবুক সেগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয না। এ কারণে কোনো সরকারের চাওয়ার বিপরীতে ফেসবুক শতভাগ তথ্য দেয় না ।

তবে গেল বছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ দিন 'নিরাপত্তার স্বার্থে' বাংলাদেশে ফেসবুক দেখার সুযোগ বন্ধ করে রাখে বাংলাদেশ। ওই সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকের নানা ‘অপব্যবহার ও নেতিবাচক’ বিষয় তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুরে গিয়ে ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠকও করেন তারা। ওই সফরের পর দেশে ফিরে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি অবমাননাসহ বাংলাদেশের প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ সাপেক্ষে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সরকারের অভিযোগ বা অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। সরকারি হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাই ব্যবহার করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে বাংলাদেশ তিনবারে ৩৪টি আইডির তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় ফেসবুকের কাছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত একটি আবেদনে ১২ জন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সাতটি আবেদনে ১৭ জন এবং একই বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি আবেদনে পাঁচটি, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩টি আবেদনে তিনটি এবং সবশেষে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২টি আবেদনে ৩১ জনের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ সরকার।

প্রসঙ্গত, প্রতি ছয় মাস পরপর ফেসবুক ‘গভর্মেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে, তা জানানো হয় না। তবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে সবাই বিটিআরসির দিকেই ইঙ্গিত করে থাকেন। এছাড়া এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায় তা তুলে ধরা হলেও কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় তা উল্লেখ করা হয় না।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন দেখা যাবে https://govtrequests.facebook.com/country/Bangladesh/ এই ঠিকানা থেকে।

Monday, April 18, 2016

ভুক (VOOC) চার্জিং কি ও এর রহস্য !

গত ২-৩ বছরে মোবাইল নির্মাতা কোম্পানিগুলোর ভেতর কুইক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে বেশ ভালো প্রতিযোগিতা চলে আসছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কুইক চার্জিং প্রযুক্তি আবিস্কার করছে বিভিন্ন কোম্পানি এবং সেগুলোকে বিভিন্ন আঙ্গিকে নিয়ে আসছে বাজারে। অপ্পো (OPPO) নামের এক মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি ২০১৪ সালে ভুক (VOOC) নামক এক প্রযুক্তি নিয়ে আসে। যেটি অপ্পো এর নিজেদের প্রযুক্তি। ভুক প্রযুক্তিতে ৩০ মিনিটে একটি ৩,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ৭০%-৭৫% চার্জ করা সম্ভব । এরপর অপ্প যতোগুলো ফোন বাজারে রিলিজ করেছিলো প্রায় সব ফোন গুলোতেই ভুক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিলো।

আরো দেখুনঃ কুইক চার্জিং প্রযুক্তির কি এবং এর বিবর্তন !

VOOC Flash Charge vs Qualcomm Quick Charge
VOOC Flash Charge vs Qualcomm Quick Charge

কুইক চার্জিং প্রযুক্তির কথা বলতে গেলে বলতে হয় কোয়ালকম এর কুইক চার্জ ১.০, কুইক চার্জ ২.০ এবং কুইক চার্জ ৩.০ এর কথা। কুইক চার্জ ৩.০ বর্তমানে সর্বশেষ প্রযুক্তি কোয়ালকম এর পক্ষ থেকে। আমি এ নিয়ে আমার আরেকটি পোস্টে আলোচনা করেছিলাম। এখন মজার ব্যাপার হচ্ছে ২-৩ দিন আগে অপ্পো কোম্পানিটি তার ভুক নামক প্রযুক্তিটিকে সুপার ভুক (SUPER VOOC) নামে নতুন করে রিলিজ করেছে। যার মাধ্যমে কিনা একটি ২,৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি মাত্র ১৫ মিনিটে ফুল চার্জ করা সম্ভব হবে। চমৎকার ব্যাপার না? হাঁ, অবশ্যই। শুধু তাই না অপ্পো থেকে বলা হয়েছে আপনি যদি আপনার ফোনটিকে শুধু ৫ মিনিট চার্জ করেন তবে তা ৪৫% চার্জ হয়ে যাবে।

আরো দেখুনঃ অ্যাপলের ম্যাকবুকে থাকবেনা কিবোর্ড !

এখন আপনারা তো জানেনই যে কুইক চার্জিং প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে ? অর্থাৎ যদি কোয়ালকম এর প্রযুক্তির দিকে তাকানো হয় তবে দেখতে পাওয়া যায় যে, এই প্রযুক্তিতে আউটপুট পাওয়ার কম বেশি হতে থাকে। কখনো ৫ ভোল্ট তো আবার কখনো ৯ ভোল্ট। কিন্তু সুপার ভুক প্রযুক্তি সম্পূর্ণ আলদা ধারণা ব্যবহার করেছে। সুপার ভুক প্রযুক্তিতে ভোল্টেজ বা কারেন্ট কম বেশি হবে না। এটি শুধু মাত্র ৫ ভোল্ট এই কাজ করে। দেখুন শুধু ৫ ভোল্ট এ কাজ করার জন্য একে কারেন্ট কমবেশি করতে হয় না। এবং এই অপরিবর্তনীয় ভোল্টেজ নিয়ে সুপার ভুক প্রযুক্তিতে এরা দ্রুত ব্যাটারি চার্জ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে।


এই বছরে অপ্পো এর নতুন ফোন গুলোর সাথে সুপার ভুক প্রযুক্তি দেখতে পাওয়া যাবে। এটি নিস্যন্দে চমৎকার একটি প্রযুক্তি। আপনি চিন্তা করতে পারছেন, মাত্র ১৫ মিনিটে স্মার্টফোন ব্যাটারি ফুল চার্জ হয়ে যাবে? এ প্রযুক্তি নিয়ে কিছু ধারণা পরিষ্কার করা দরকার। চলুন আলোচনা করি।


কুইক চার্জিং প্রযুক্তির কি এবং এর বিবর্তন !

কুইক চার্জিং বা ফাস্ট চার্জিং বা টার্বো চার্জিং এর কথা আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন। অনেকে হয়তো একটা কুইক চার্জার বাজার থেকে কিনেও ফেলেছেন ইতিমধ্যে। আজকের এই পোস্ট এ আমি কুইক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করবো।

প্রথমেই একটা কথা বলে নেয়। যেসকল কোম্পানি কুইক চার্জার, ফাস্ট চার্জার বা টার্বো চার্জার তৈরি করে এবং বিক্রি করে সেগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। অর্থাৎ সেই কুইক চার্জারটি স্যামসাং এর হোক বা অন্য কোনো কোম্পানির, সব চার্জার এ একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। মনে করুন আপনি স্যামসাং এর ফোন ব্যবহার করছেন। কোনো কারনে আপনার চার্জারটি নষ্ট হয়ে গেলো, তারপর যে আপনাকে স্যামসাং এর ই চার্জার কিনতে হবে তা না। আপনি আপনার ফোন এবং ব্যাটারির পাওয়ার এর উপর মিল রেখে যেকোনো চার্জার কিনতে পারেন। এতে আপনার ফোন এর বা ফোন ব্যাটারির কোনো সমস্যা হবে না।

কুইক চার্জিং প্রযুক্তি কি এবং এর বিবর্তন



Quick Charging

আজ থেকে ৫ অথবা ৬ বছর পেছনে তাকালে দেখতে পাওয়া যাবে যে তখনকার মোবাইল ফোন এ ব্যবহৃত ব্যাটারির পাওয়ার ধারন ক্ষমতা অনেক কম ছিল। যেহেতু ব্যাটারির পাওয়ার ধারন ক্ষমতা অনেক কম ছিল তাই ব্যাটারি চার্জ করা সময় নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা ছিল না। তাছাড়া আমারা তখন ফোনকে এতোটা ব্যবহার ও করতাম না। তাই আমারা সাধারন চার্জিং প্রযুক্তি নিয়েই খুশি ছিলাম।

আরো দেখুনঃ ভুক (VOOC) চার্জিং কি ও এর রহস্য !

কিন্তু যেভাবে যেভাবে দিন চলে গেছে সেভাবে সেভাবে ফোন এর ব্যবহার ও বেড়ে গেছে। মোবাইল ফোন এ এখন অনেক শক্তিশালী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় ও বেড়ে গেছে আগের চেয়ে অনেক গুনে। এখন অনেক শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় ফোন এ। কিন্তু সমস্যা হলো চার্জিং টাইম এখনো সেই আগের মতোই আছে।

এই সমস্যা দূর করার জন্য কোয়ালকম “কুইক চার্জ ১.০” প্রযুক্তির আবিস্কার করেছিলো। এই প্রযুক্তিতে চার্জিং আইসি বেশি পাওয়ার গ্রহন করে এবং ব্যাটারিকেও দ্রুত চার্জ করতে সাহায্য করে। কুইক চার্জ ১.০ এর মাধ্যমে ৩০ মিনিটে একটি ৩,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ৩০% পর্যন্ত চার্জ হতে পারতো। এর পর আসলো কোয়ালকম “কুইক চার্জ ২.০” প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি এসেছিলো কোয়ালকম এর নতুন প্রসেসর এর সাথে। এই প্রযুক্তিতে ৩০ মিনিটে একটি ৩,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত চার্জ করা সম্ভব ছিল।

এখন কথা বলি সর্বশেষ কোয়ালকম “কুইক চার্জ ৩.০” প্রযুক্তি সম্পর্কে। দেখুন একটি সাধারন চার্জার এ অর্থাৎ যে চার্জার আমরা অনেক আগেও ব্যবহার করেছি, সেখানে যে আউটপুট পাওয়ার ছিল তা হলো ৫ ভোল্ট x ১ অ্যাম্পিয়ার অর্থাৎ ৫ ওয়াট। তারপরে যখন কুইক চার্জ ১.০ প্রযুক্তি আসলো তখন আউটপুট পাওয়ার ছিল ৫ ভোল্ট x ২ অ্যাম্পিয়ার অর্থাৎ ১০ ওয়াট এর চার্জার। কিন্তু কুইক চার্জ ২.০ প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট আউটপুট পাওয়ার ছিল না। কুইক চার্জ ২.০ প্রযুক্তিতে আউটপুট পাওয়ার নির্ভর করে বর্তমান ব্যাটারি লেভেল এর উপর। ২.০ প্রযুক্তিতে আউটপুট পাওয়ার হয় ৫ ভোল্ট x ২ অ্যাম্পিয়ার = ১০ ওয়াট অথবা ৯ ভোল্ট x ২ অ্যাম্পিয়ার = ১৮ ওয়াট অথবা ১২ ভোল্ট x ১.৬৭ অ্যাম্পিয়ার = ১৮ ওয়াট এর। অর্থাৎ সর্বাধিক আউটপুট পাওয়া যায় ১৮ ওয়াট এবং সবনিম্ন ১০ ওয়াট। এবং এই আউটপুট পাওয়ার গুলো ব্যাটারি লেভেল এর উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে থাকে। যেকোনো স্মার্টফোন এর ব্যাটারি ০% থেকে ১০০% পর্যন্ত একই ভাবে চার্জ হয় না। আপনি হয়তো লক্ষ করলে দেখবেন যে আপনার ফোনটি শুরুতে অনেক তাড়াতাড়ি চার্জ হয়, কিন্তু ৫০% বা তার বেশি চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে চার্জ হওয়ার গতি কমে যায়।

যখন আপনার ফোনটি প্রথম চার্জ হতে শুরু করে তখন ব্যাটারিটি একদম খালি থাকায় অনেক দ্রুত চার্জ গ্রহন করে। কিন্তু ধিরেধিরে যখন চার্জ হতে থাকে তখন ব্যাটারিটি কম পাওয়ার গ্রহন করতে লাগে। ৯০% এর পরে ব্যাটারি চার্জ গ্রহন করা আরো বেশি কমিয়ে দেয়। কুইক চার্জিং প্রযুক্তি “কুইক চার্জ ২.০” তে ব্যাটারির প্রয়োজন অনুসারে চার্জ হতে থাকে। মনে করুন ০% থেকে ৫০% পর্যন্ত ১৮ ওয়াট চার্জ সরবরাহ করে, কেনোনা ্তখন ব্যাটারিটি বেশি পাওয়ার গ্রহন করে। তারপর ৫০% এর পরে ১০ ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করে, কারন ধিরেধিরে ব্যাটারি কম পাওয়ার গ্রহন করে। তাই এই ব্যাটারির পাওয়ার কম বেশির উপর নির্ভর করে “কুইক চার্জ ২.০” তার আউটপুট পাওয়ার ও কম বেশি করতে থাকে।

আরো দেখুনঃ ওভার-ক্লকিং কী? স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের পারফরমেন্স বাড়াতে ওভার-ক্লকিং কেন প্রয়োজন?

এখন কোয়ালকম তার সর্বশেষ প্রযুক্তি “কুইক চার্জ ৩.০” তে ৩.৬ ভোল্ট থেকে শুরু করে ১২ ভোল্ট পর্যন্ত ২০০ মিলিভোল্ট ক্রমবর্ধন করে চার্জ করতে পারে। “কুইক চার্জ ২.০” তে ৫ থেকে ৯ তারপর ১২ ভোল্ট এর ক্রমবর্ধন ছিল। অর্থাৎ চার্জিং পাওয়ার ১২ ভোল্ট থেকে সরাসরি ৯ ভোল্ট এবং ৯ ভোল্ট থেকে সরাসরি ৫ ভোল্ট এ নেমে আসতো। এর মাঝের ভোল্ট যেমন ৬,৭ বা ৮ ভোল্ট এর কোনো বাবস্থা ছিল না। কিন্তু কুইক চার্জ ৩.০ তে অনেক ধিরেধিরে স্মুত ভাবে ৩.৬ ভোল্ট থেকে শুরু করে ১২ ভোল্ট পর্যন্ত আউটপুট পাওয়ার ২০০ মিলিভোল্ট করে ক্রমবর্ধন হবে। এতে ২.০ এর মতো ১২ ভোল্ট থেকে ধপ করে ৯ ভোল্ট এ নেমে আসবে না। বরং ব্যাটারির প্রয়োজন অনুসারে অনেক ধিরেধিরে ভোল্ট কম বেশি করবে।

কুইক চার্জিং প্রযুক্তি “কুইক চার্জ ৩.০” ব্যাটারির চাহিদা অনুসারে চার্জ করে থাকে বলে আপনি ব্যাটারি চার্জিং এর এক সুন্দর ক্রম দেখতে পান, এবং ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হয়। “কুইক চার্জ ৩.০” কোয়ালকম এর নতুন প্রসেসর গুলো যেমন ৪৩০, ৬১৭, ৬১৮, ৬২০ এবং ৮২০ এর সাথে দেখতে পাবেন। তাছাড়া কোয়ালকম এই প্রযুক্তি আলাদা কোম্পানিদেরও লাইসেন্স করে থাকে। যেমন স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৫ এ কোয়ালকম এর “কুইক চার্জ ৩.০” প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু নোট ৫ এ এক্সিনস প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।

কুইক চার্জার

Quick Charger

এখন যদি কথা বলি কুইক চার্জার নিয়ে তবে জেনে রাখুন বর্তমান বাজারে অনেক কুইক চার্জার কিনতে পাওয়া যায়। অনেক ৩য় পক্ষ কোম্পানি কুইক চার্জার বানিয়ে থাকে। এবং কোয়ালকম এদের প্রত্যয়িত করেছে যে, “হাঁ এই কুইক চার্জার সমূহ মান সম্পূর্ণ এবং এগুলো “কুইক চার্জ ৩.০” প্রযুক্তির সাথে ঠিকঠাক মানানসই”। এ জন্য আপনি যদি আপনার ফোন এর জন্য কুইক চার্জার কিনতে চান তাহলে এটা একদম জরুরী নয় যে ফোন এর ব্র্যান্ড এর সাথে মিল রেখে চার্জার কিনতে হবে। আপনি যেকোনো কুইক চার্জার ব্যবহার করেই কুইক চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন। তবে আমি বলবো কুইক চার্জার কেনার আগে এর প্যাকেট এর গায়ে কোয়ালকম প্রত্যয়িত কিনা তা দেখে কিনুন। যদি কোয়ালকম প্রত্যয়িত হয়ে থাকে তবে কোন কোম্পানির চার্জার কিনেছেন তাতে কোনো যায় আসে না।

কুইক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

কুইক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা অনেকের মাঝে আছে, তো চলুন ভুল ধারণা গুলো ভাঙ্গানোর চেষ্টা করি।

অনেকে মনে করেন যে কুইক চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে। জী না। এটি একদম ভুল ধারণা। কুইক চার্জার কখনোয় আপনার ফোন এ জোর করে পাওয়ার দিয়ে দেবে না। এটি ব্যাটারির লেবেল অনুসারেই চার্জ করবে। এমনটা না যে চার্জ দ্রুত হচ্ছে বলে ব্যাটারি ব্লাস্ট হয়ে যাবে।
অনেকে মনে করেন যে একটি কুইক চার্জার কিনলেই আপনার ফোন এ কুইক চার্জিং শুরু হয়ে যাবে। আসলে আপনার ফোন এ শুধু মাত্র কুইক চার্জিং প্রযুক্তি থাকলেই আপনি কুইক চার্জার এর মাধ্যমে ফাস্ট চার্জিং করতে পারবেন। আর তা না হলে কুইক চার্জার এর কোনো লাভ আপনি পাবেন না।
অনেকে মনে করেন যে, আমার ফোন কুইক চার্জিং সমর্থন করে তাই স্লো চার্জিং ব্যবহার করলে ব্যাটারির সমস্যা দেখা দেবে। আসলে এটাও ঠিক নয়। আপনি যেকোনো সাধারন চার্জার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আপনার ল্যাপটপ দিয়েও চার্জ করতে পারেন। এতে আপনার ব্যাটারির কোনো সমস্যা হবে না।
১৫ মিনিটে স্মার্টফোন ব্যাটারি ফুল চার্জ


এতক্ষণে নিশ্চয় কুইক চার্জিং নিয়ে অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন। আমাদের ফোন এর সবকিছুই ভালো হয় কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটারি লাইফ পাই না। এ জন্য আমরা চাই যে আমাদের ফোন যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব চার্জ করতে পারি। আমি প্রথমেই সৎভাবে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিচ্ছি যে, আমি এখানে কোনো ট্রিক বলতে যাচ্ছি না যার সাহায্যে আপনি আপনার বর্তমান ফোনটি ১৫ মিনিটে ফুল চার্জ করতে পারবেন। আমি এখন আপনাদের এর নতুন প্রযুক্তির কথা বর্ণনা করতে চলেছি যেটা “কুইক চার্জ ৩.০” এর চেয়েও বেশি উন্নত। এবং আপনার ফোন ১৫ মিনিটে ফুল চার্জ হয়ে যাবে।


VOOC চার্জিং কি ?

Regular Charging vs VOOC Charging



VOOC এর অর্থ "Voltage Open Loop Multi Step Constant Charging" অপ্প নামের মোবাইল নির্মাতা কোম্পানি ২০১৪ সালে VOOC নামক এক প্রযুক্তি নিয়ে আসে। এটি এমন একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে একটি চার্জার এডপ্টারের বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা দ্রুততর গতির তড়িৎ এর একটি স্থির প্রবাহ সৃষ্টি হয় । এর মাধ্যমে ৩০ মিনিটে ৭৫% চার্জ করা যায়। ৫ মিনিট চার্জ দিলে ২ ঘন্টা কথা বলা যায়। এটি OPPO কম্পানির বড় ১টি আবিষ্কার.

১৭০০০ মার্কিন ডলারের ও বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ প্রসেসরযুক্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সোলারিন স্মার্টফোনটিতে ওয়াই-ফাই সংযোগসহ আছে ২৩.৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা।...

 

© 2017 TECHDVICE. All rights resevered.

Back To Top