প্রশ্ন আসতেই পারে যে, এই নতুন অ্যাজাইল পদ্ধতি আসলে কি যে তা এতো তড়িৎ গতিতে কাজ করতে পারে? ব্যাখ্যা করে বলা যায় এই পদ্ধতিতে পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয়। এতে উৎপাদন কম সময়ে শেষ করা যায়। এক একটি অংশ উৎপাদন সম্পন্ন হলে সেটির কার্যকারিতা অবিলম্বে পরীক্ষা করা হয় এই নতুন পদ্ধতিতে। এভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ হয় এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও তাড়াতাড়ি করা যায়। অন্যদিকে ওয়াটারফল পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট পর্যায় সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ভুল ধরা সম্ভব হয় না। তাই ভুল ধরতে ও সংশোধন করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন হয়। এটি একটি বদ্ধ পদ্ধতি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে ভুল সংশোধনও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এ রকম একটি অবস্থায় স্যামসাং সত্যি যদি অ্যাজাইল পদ্ধতিতে উৎপাদন করে তবে গ্যালাক্সি এস৭ আগেই তৈরি হয়ে যাবে। কোম্পানিটি সব সময়ই মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে নতুন ফ্ল্যাগশীপ ফোন উপস্থাপন করতে পছন্দ করে। এমনটিই তারা করেছে আগের গ্যালাক্সি এস৬ ও এস৬ এজের বেলায়। তবে এবার হয়তো স্যামসাং সে কৌশল অনুসরণ না করে প্রতিদ্বন্দ্বী এলজি, সনি বা এইচটিসি’র আগেই বাজারে তার এস৭ বাজারে এনে গ্রাহককে আগে ভাগেই নিজের দিকে টেনে নিতে পারে।
0 comments:
Post a Comment